দগ্ধ অভিনেত্রী আঁখির শারীরিক অবস্থার অবনতি

মিরপুরে শুটিং স্পটে দগ্ধ হওয়া ছোট পর্দার অভিনেত্রী শারমিন আঁখির (২৭) শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে আঁখির স্বামী জানান, বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) শ্বাসকষ্ট দেখা দিলেও শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) স্ট্যাবল আছেন তিনি।

বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, আঁখির শরীরে ‘ডিপ বার্ন’। পুড়া ক্ষত এখনও শুকায়নি। তার মধ্য বৃহস্পতিবার থেকে তিনি কিছুটা জ্বরাক্রান্ত। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্টও রয়েছে। সব মিলিয়ে তার অবস্থা অবনতি হয়েছে বলা যায়।

তিনি আরও জানান, সর্বক্ষণিক চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তার সুস্থ্য হয়ে উঠতে আরও সময় লাগবে।

এদিকে, দগ্ধ আঁখির স্বামী নির্মাতা রাহাত কবির জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎ তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরবর্তিতে চিকিৎসকরা ঝুকি এড়াতে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) থেকে তাকে আইসিইউ নেন। শুক্রবার বিকেল থেকে তার স্বাসকষ্ট কমে গেছে। এখন স্ট্যাবল আছেন। তবে শরীর খুবই দুর্বল। মুখে খাবার খেতে পারছেন। কথাও বলতে পারছেন অল্প অল্প।

গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে মিরপুরের একটি শুটিং হাউজে মেকআপ রুমে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন অভিনেত্রী শারমিন আঁখি।

সেদিন তার স্বামী জানান, তারা পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিংয়ে থাকেন। শনিবার সকালে তিনি নিজেই শারমিনকে মিরপুর-১১, কালশি রোড এ্যাপেক্স শোরুমের পাশের একটি সুটিংস্পটে নিয়ে যান। দুপুর শারমিন মেকআপ রুমে ঢুকেন। মেকআপ রুমের ভিতরেই টয়লেট। সেখানে হেয়ার স্টিট দিয়ে চুল ঠিক করার পর ফ্লাগ খুলতেই একটি স্পার্ক হয়। এরপরই বিস্ফোরণ হয়।

তার ধারণা, ঘটনার আগে মেকআপ রুমে কেউ বডি স্প্রে ব্যবহার করতে পারে। যা সেখানকার বাতাসে ছিলো। বা টয়লেট থেকে মিথেন গ্যাসের কারণেও বিস্ফোরণের সূত্রপাত হতে পারে। এছাড়া শুটিং হাউজটি সম্পূর্ণ নতুন এবং সবেমাত্র রঙ করা। সেখানে রঙের প্রচুর গন্ধও ছিলো।

ওইদিন সন্ধ্যায় তাকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তার দুই হাতের সম্পূর্ণ, দুই পা, মাখমন্ডল ও মাথার একপাশ দগ্ধ হয়েছে। টয়লেটে ধূমপান করার সময় এই দুর্ঘটনা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদে শুনা গেলেও বিষয় মিথ্যা বলে দাবি করেন তার স্বামী।

নোয়াখালির সোনাইমুড়ি উপজেলার মো. শাহবুদ্দিন মেয়ে শারমিন। ৩-৪ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছে। তার স্বামীর বাড়ি চট্টগ্রাম আকবর শাহ।

Facebook Comments