র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘র‌্যাব যখন তৈরি হয় তখন আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যের পরামর্শেই তৈরি হয়। তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে ওই দেশগুলো র‌্যাবের ধারণা দেয়। তারাই তৎকালীন সরকারকে এর জন্য ইকুইপমেন্ট দেয়। তাদের কারণেই প্রাথমিকভাবে র‌্যাব চালু হয়৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে র‌্যাব এখন অনেক পরিপক্ব হয়েছে। দেশের জনগণ তাদের পারফরম্যান্সের জন্য তাদের চায়৷ আমেরিকা অন্য বুদ্ধিতে তাদের ওপর প্রেশার দিয়েছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়গুলো সমাধানের চেষ্টা করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনা হবে কিনা এটা এখনই জানা যাবে না। তবে আমাদের একটা অনুরোধ থাকবে তাদের প্রতি যে তাদের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।’

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরে র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা হবে কিনা-সাংবাদিকরা তা জানতে চান।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য নিয়ে বাংলাদেশের কোনও অস্বস্তির বিষয় আছে কিনা এবং তা সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনও অস্বস্তি নেই৷ আমরা বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেবো।’

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময় একটা স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চায়। ৭০ এর নির্বাচনসহ পরবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। কোনও বুলেটের মাধ্যমে আসে নাই। আওয়ামী লীগ সরকার ব্যালটের মাধ্যমে আসে। আমরা ব্যালট যাতে স্বচ্ছ হয় সেজন্য স্বচ্ছ ভোট বাক্স তৈরি করেছি যাতে বাইরে থেকে দেখা যায়৷ আমরা নকল ভোটার এড়ানোর জন্য আইডি করেছি। কেননা কোনও এক সময় সরকার এক কোটি ২৩ লাখ ফেইক ভোটার পেয়েছিল। আমরা সেজন্য বায়োমেট্রিক ছবিসহ আইডি তৈরি করেছি, যাতে এই ধরনের কোনও ঝামেলা না হয়৷ এখন আমরা তৈরি করেছি একটি নিরপেক্ষ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। আমাদের মৌলিক উদ্দেশ্য আমরা একটি স্বচ্ছ, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পজিশন খুব ক্লিয়ার। আওয়ামী লীগ সবসময় সঠিক সময়ে নির্বাচন দেয়। আগেও করেছে, ২০০১ সালে করে নাই? হারার পরে সুন্দরভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। অন্য দল করেছে? বিএনপি করেছে? আওয়ামী লীগ সেই দল না যে একদেশে একটা বড় পার্টিকে নির্বাচন করতেই দিলো না। মনে করেন মিশরের কাহিনি বলছি। মনে করেন এই মিয়ানমার বড় দলকে তারা ভোটের অধিকারই দেয় নাই। বাংলাদেশ এইটা না। বাংলাদেশ হচ্ছে সবাইকে নিয়ে আমরা থাকতে চাই। এদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে এদেশের জনগণের ওপর। এদেশের নির্বাচন ভালো না মন্দ হবে সেটা নির্ভর করে এদেশের সব পার্টির ওপর।

Facebook Comments