আসন্ন ঈদুল ফিতর শেষে ঘরমুখো মানুষের নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরতে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ১ মে থেকে।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি জানান, ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ৩ মে ধরে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদের পর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে ৫ মের টিকিট দেওয়া হবে ১ মে। এভাবে ৬ মের টিকিট ২ মে, ৭ মের টিকিট ৩ মে এবং ৮ মের টিকিট ৪ মে বিক্রি করা হবে। তবে ২, ৩ এবং ৪ মে তারিখের অগ্রিম টিকিট বিক্রি চাঁদ দেখার ওপর নির্ধারণ করা হবে। যা ১ মে সন্ধ্যার পর নেওয়া সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৯২টি (পাহড়াতলী ওয়ার্কশপ থেকে ৭৩টি ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ হতে ১৯টি) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা এবং মোট ২১৮টি (পূর্বাঞ্চল ১১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চল হতে ১০২টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে ঢাকা, ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহী, খুলনাসহ সকল বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র্যাবের সহযোগিতায় টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়া জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। চলন্ত ট্রেনে, স্টেশনে বা রেললাইনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আরএনবি, জিআরপি ও রেলওয়ে কর্মচারীদের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। এছাড়া র্যাব, বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতায় নাশকতাকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
অন্যদিকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের ৩ দিন আগ থেকে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া সকল গুডস ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া ঈদের আগে ও পরের ৫ দিন ঢাকা, ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে যে কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রয়োজনে এবং ঢাকা বিমানবন্দর ও জয়দেবপুর স্টেশনে আন্তঃজোনাল, আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনায় জরুরি সমস্যা সমাধানের সুবিধার্থে কর্মকর্তা নিয়োজিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের গঠিত ভিজিলেন্স টিম টিকিট বিক্রয়ের স্থানে মনিটরিং করবেন।
অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষে ঈদের ১০ দিন আগে এবং ঈদের পরে ১০ দিন পর্যন্ত ট্রেনে সেলুন সংযোজন করা হবে না। যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে নিয়োজিত করতে রিলিফ ট্রেনসমূহ স্ব-স্ব অবস্থানে প্রস্তুত রাখা হবে বলেও জানান রেলপথমন্ত্রী।