পায়রা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পটুয়াখালীতে পায়রা নদীর ওপর নির্মিত সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ (২৪ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই কার্যক্রমে অংশ নেন তিনি। একইসঙ্গে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-তামাবিল উভয় সড়কে পৃথক এসএমভিটি লেনসহ ৬-লেন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সরকার প্রধান।

পায়রা সেতু চালুর মাধ্যমে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে আর ফেরির দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। আগে যেখানে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যেতে লাগতো ৬-৮ ঘণ্টা। এখন পায়রা সেতু চালুর ফলে লাগবে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা। আশা করা হচ্ছে, ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে কুয়াকাটা সমুদ্রবন্দর ও এখানকার পর্যটনের আকর্ষণ বাড়বে।

পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী পয়েন্টে পায়রা সেতুর নির্মাণ প্রকল্প ২০১২ সালে অনুমোদন পায় একনেকে। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশনের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজটি শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই। কার্যাদেশে সেতু নির্মাণে ৩৩ মাস সময় বেঁধে দেওয়া হলেও দুই দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের আগেই যানচলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হলো।

প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৮২ ভাগ অর্থায়ন করেছে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং এপেক ফান্ড।

১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের পায়রা সেতুর নকশা কিছুটা ব্যতিক্রম। চার লেনবিশিষ্ট এই স্থাপনা তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে এক্সট্রাডোজড ক্যাবল স্টেইন্ড প্রযুক্তি। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর শাহ আমানত সেতু একই প্রযুক্তিতে নির্মিত।

পায়রা সেতুর দুই পাশ ক্যাবল­ দিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। নদীর মাঝখানে রয়েছে কেবল একটি পিলার। ফলে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। সেতুটি নদীর ১৮ দশমিক ৩০ মিটার ওপরে। এখানে বাতি জ্বলবে সৌরবিদ্যুতের সহায়তায়।

Facebook Comments