কিউকমের বিপণন প্রধান আরজে নীরব গ্রেফতার

প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতার ওই কর্মকর্তার নাম- হুয়ামূন কবির নীরব ওরফে আরজে নীরব। তিনি প্রতিষ্ঠানটির হেড অব সেলস (কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) অফিসার বা প্রধান বিপণন কর্মকর্তা।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ্।

তিনি বলেন, শুক্রবার ভোরে আদাবর থানা এলাকার নবোদয় হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে আরজে নীরবকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ৩ অক্টোবর রাতে গ্রাহকদের ২৫০ কোটি টাকা আটকে রাখার অভিযোগে কিউকমের সিইও রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) মতিঝিল বিভাগ।

গ্রেফতারের পরদিন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার সংবাদ সম্মেলন জানিয়েছিলেন, রাজধানীর পল্টন থানায় এক ভুক্তভোগী কিউকমের মালিক মো. রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ডিবি মতিঝিল বিভাগ গ্রেফতার করে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকদের প্রায় ২৫০ কোটি টাকার পণ্য আটকে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, করোনাকালে অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স ব্যবসার দ্রুত প্রসার ঘটায় কিউকম অনলাইনে ব্যবসা শুরু করে। অনেক ক্রেতা কিউকমে মালামাল অর্ডার করে পণ্য না পাওয়ায় প্রতারিত হন। এক ভুক্তভোগী কিউকমে মালামাল অর্ডার করে পণ্য না পাওয়ায় তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। এরপর গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত জুন মাসে এসক্রো সিস্টেম চালু করায় ক্রেতার টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে চলে যায়। কিউকমের পেমেন্ট গেটওয়ে ছিল ফোস্টার। কিউকমে ক্রেতা পণ্য অর্ডার করলে ক্রেতার পেমেন্ট চলে যায় ফোস্টারের কাছে। কিউকম ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দিয়ে চালানসহ ডকুমেন্ট ফোস্টারে জমা দেয়। ফোস্টারের পক্ষ থেকে ক্রেতাকে ফোন করার মাধ্যমে পণ্য বুঝে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কিউকমকে টাকা দেয় তারা। ক্রেতা পণ্য বুঝে না পেলে ফোস্টার কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রুফ অব ডেলিভারির নির্দেশনা মোতাবেক কিউকমের টাকা আটকে দেয় ফোস্টার। যার ফলে ক্রেতা পণ্য কিংবা টাকা কোনটিই পায় না।

Facebook Comments