‘জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়কে আরও কার্যকর করতে কাজ চলছে’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম আরও সহজ করতে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে সক্ষম ও শক্তিশালী করার কাজ চলছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু দিবস উপলক্ষে বুধবার (৬ অক্টোবর) জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

তাজুল ইসলাম বলেন, জন্মনিবন্ধন করা থাকলে যেকোনো সরকারি সুবিধা নেওয়া এবং দেওয়া সহজ হয়। যতদ্রুত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে, তত বেশি আমরা আপডেট থাকবো। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়কে সক্ষম করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইন এবং বিধিমালায় যদি কোথাও সমস্যা থাকে সেগুলোরও সমাধান করা হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করা হয়। আইডি কার্ড দেওয়া এবং ভোটার লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এটা যাতে না করতে পারে সেজন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

তিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিনামূল্যে করে দেওয়া যায় কিনা তা পর্যালোচনা করে দেখবে সরকার। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে জাতীয় কমিটি রয়েছে সেখানে এ বিষয়টি উত্থাপন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু এবং করোনা এ দু’টি সমস্যা শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের। বিশ্ববাসী এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বিভিন্ন দেশের করোনা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে আছে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থা এবং সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। একদিনে যে বিপুল সংখ্যক টিকা দেওয়া হয়েছে তা বিশ্বে বিরল। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করছে বলেই মানুষ টিকা নিচ্ছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন হয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্বাস্থ্য বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মিজ ভিরা মেনডোনকা বিশেষ অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার জেনারেল মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী স্বাগত বক্তব্য দেন।

পরে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট দেন মন্ত্রী।

Facebook Comments