মেয়ে দেশে ফেরার পর আবুল মকসুদের দাফন

বিদেশে অবস্থানরত মেয়ে দেশে ফেরার পর সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক, গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদের দাফন হবে। সৈয়দ আবুল মকসুদের পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নাসিফ মকসুদ বলেন, আমার বোন এ মুহূর্তে ভারতে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে ফিরছেন। তার ফেরার পর জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মরহুমের মরদেহ এখন স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান এই বিশিষ্ট কলামিস্ট।

সৈয়দ আবুল মকসুদের ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ বলেছিলেন, বাবা ৩-৪ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে উনাকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই বাবা মারা গেছেন।

বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে নানা বই ও প্রবন্ধ লিখেছেন সৈয়দ আবুল মকসুদ। বিখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন। তার রচিত বইয়ের সংখ্যা চল্লিশের ওপর।

তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বুদ্ধদেব বসু, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রমুখ প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন। বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

সৈয়দ আবুল মকসুদের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬৪ সালে এম আনিসুজ্জামান সম্পাদিত সাপ্তাহিক নবযুগ পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে। এটি ছিল পাকিস্তান সোশ্যালিস্ট পার্টির মুখপত্র। পরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সমর্থিত সাপ্তাহিক ‘জনতা’য় কাজ করেন কিছুদিন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বার্তা সংস্থায় যোগ দেন। ২০০৮ সালের ২ মার্চ বার্তা সংস্থার সম্পাদকীয় বিভাগের চাকরি ছেড়ে দেন।

সৈয়দ আবুল মকসুদ সাহিত্যিক হিসেবেও খ্যাতিমান ছিলেন। ১৯৮১ সালে তার কবিতার বই বিকেলবেলা প্রকাশিত হয়। ১৯৮৭ সালে তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ দারা শিকোহ ও অন্যান্য কবিতা প্রকাশিত হয়। মানবাধিকার, পরিবেশ, সমাজ ও প্রেম নিয়ে তিনি কবিতা লিখেছেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বুদ্ধদেব বসু, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রমুখ প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন।

Facebook Comments