ডিআরইউ বঙ্গবন্ধু বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২০

দেশবাংলা ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন টেলিভিশন, অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার ১৪ জন সাংবাদিক। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই পুরস্কারটি তার নামেই ‘বঙ্গবন্ধু-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ নামকরণ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের (আইডিইবি) মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে অনলাইনের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে এ পুরস্কার তুলে দেন। শাহেদকে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্টের পাশাপাশি একটি সনদ ও এক লাখ টাকার চেক হাতে তুলে দেওয়া হয়। রিপোর্টারদের পেশাগত কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে থাকে ডিআরইউ।এছাড়া ভার্চুয়ালি যোগ দেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

স্পিকার বলেন, নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে গণমাধ্যম তথ্য উপস্থাপন করে থাকে, তবে তাতে সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা যেন বজায় থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আরও যারা পুরস্কার পেয়েছেন তারা হচ্ছেন, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ‘যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক সমকালের আবু সালেহ রনি। শিক্ষা ক্যাটাগরিতে ‘আনকমন এররস ইন কমন এব্রিভাইটেশন’ শিরোনামে প্রতিবেদনের জন্য দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস এর রায়হান এম চৌধুরী, স্বাস্থ্য ক্যাটাগরিতে ‘৫শ’ টাকার গগলস পাঁচ হাজার, ২ হাজারের পিপিই ৪৭শ’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক কালের কণ্ঠ আরিফুর রহমান, অনুসন্ধানী রিপোর্ট (উন্মুক্ত) ক্যাটাগরিতে- সন্ত্রাসীদের হাতে রাজনীতির ‘চেরাগ’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক প্রথম আলোর কামরুল হাসান, অর্থ-বাণিজ্য ক্যাটাগরিতে ‘ডেসটিনির সম্পদ বারো ভূতের দখলে!’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক ভোরের কাগজের মরিয়ম সেঁজুতি, সেবাখাত ক্যাটাগরিতে ‘ময়লার টাকাও খান কাউন্সিলররা!’ প্রতিবেদনের জন্য বাংলা ট্রিবিউন এর শাহেদ শফিক, ক্রীড়া খাতে ‘পেশাদার লীগে অপেশাদারিত্ব’ শিরোনামে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক নয়াদিগন্তের রফিকুল হায়দার ফরহাদ, শিল্প-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য ক্যাটাগরীতে ‘বিলুপ্তির পথে সিনেমার ব্যানার পেইন্টিং, আঁকিয়েরা ভিন্ন পেশায়’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক জনকণ্ঠের মনোয়ার হোসেন, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ে ‘হত্যা ধর্ষণের সত্যতা হারিয়ে যায় ফাইনাল রিপোর্টে’ প্রতিবেদনের জন্য দৈনিক ইত্তেফাকের সমীর কুমার দে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন।

টেলিভিশন ও রেডিও মিডিয়ায় সেবাখাত ক্যাটাগরিতে ‘ঢাকার বায়ু দূষণ’ নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের জন্য চ্যানেল ২৪ এর মো. মাকসুদ-উন-নবী, অনুসন্ধানী রিপোর্ট (উন্মুক্ত) ক্যাটাগরিতে যুগ্ম বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে ‘আপনার এনআইডি কয়টি?’ প্রতিবেদনের জন্য যমুনা টেলিভিশনের মো. আলাউদ্দিন আহমেদ ও ‘খাল-নলকূপ গেল কোথায়?’ প্রতিবেদনের জন্য যমুনা টেলিভিশনের কাজী ইমতিয়াজ আল মোমিন, অর্থ-বাণিজ্য ক্যাটাগরিতে ‘কর্মসংস্থানে করোনার প্রভাব’ এনটিভির মো. হাসানুল আলম (শাওন), স্বাস্থ্য খ্যাটাগরিতে ‘টাকায় মেলে পজেটিভ নেগেটিভ’ প্রতিবেদনের জন্য যমুনা টেলিভিশনের সাজ্জাদ পারভেজ, নারী ও শিশু খ্যাটাগরীতে ‘দাসী নাকি রেমিট্যান্স যোদ্ধা’ প্রতিবেদনের জন্য নিউজ ২৪ এর আশিকুর রহমান শ্রাবণ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন।

Facebook Comments