নিষেধাজ্ঞামুক্ত হলেন সাকিব আল হাসান

গত বছরের ২৯ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলো একটি খবর, যার সারমর্ম ছিল, ফিক্সিংজনিত ইস্যুতে নিষিদ্ধ হতে চলেছেন সাকিব আল হাসান।

পরদিন বিকেল হতেই মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির সাকিব, সঙ্গে ছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনও। তবে এর আগেই আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে সাকিবকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে আইসিসি।

তবে আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটকে তাদের তদন্ত কাজে যথাযথ সহযোগিতা করায় এক বছর স্থগিত করা হয় সাকিবের শাস্তি, ফলে বাকি এক বছর মাঠের বাইরে কাটাতে হয় তাকে। যা শেষ হলো ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর।

অর্থাৎ এক বছরের শাস্তি ভোগ করে এখন সবধরনের ক্রিকেট খেলার জন্য মুক্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আবার তিনি খেলতে পারবেন যেকোনো ধরনের ক্রিকেট।

নিষেধাজ্ঞার এ সময়টাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবমিলিয়ে ১৪টি ম্যাচ খেলতে পারেননি সাকিব। যেখানে ছিল ৪ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই মিস করা ম্যাচের সংখ্যা হতো অন্তত ত্রিশ। তবে করোনাভাইরাসের কারণে বাতিল ও স্থগিত হয়েছে অনেক সিরিজ। ফলে ১৪টির বেশি ম্যাচ মিস করতে হয়নি তাকে।

আর এখন থেকে বাংলাদেশ দল যত ম্যাচ খেলবে, সবগুলোতেই থাকতে পারবেন সাকিব। শুধু আন্তর্জাতিক নয়, যেকোনো ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলতে পারবেন তিনি। যার শুরুটা হয়তো হতে পারে, আগামী মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া বিসিবি পরিকল্পিত পাঁচ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে।

বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, এই টুর্নামেন্টে খেলবেন সাকিব। তবে এখনও আসেনি স্কোয়াড বা প্লেয়ার্স ড্রাফটের তালিকা। এখনও পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রেই অবস্থান করছেন সাকিব। কবে দেশে ফিরবেন, এ বিষয়ে নেই কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য।

Facebook Comments