বাফুফে নির্বাচন: শফিকুল ইসলাম মানিকের ২১ প্রতিশ্রুতি

স্পোর্টস ডেস্ক

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে শফিকুল ইসলাম মানিক যেন নিঃসঙ্গ যোদ্ধা। তার কোনো প্যানেল নেই। ‘একলা চলো’ নীতিতে সভাপতি পদে হেভিওয়েট প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত তিনি।

আগামী ৩ অক্টোবরের নির্বাচনকে সামনে রেখে সাবেক ডিফেন্ডার মানিক মঙ্গলবার স্থানীয় এক হোটেলে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। তৃণমূলের ফুটবলকে প্রাধান্য দিয়েছেন তিনি ২১ দফা প্রতিশ্রুতির ইশতেহারে।

সালাউদ্দিন দিনকয়েক আগে ৩৬ দফার ইশতেহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। সভাপতি পদের আরেক প্রার্থী বাদল রায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়ায় বাফুফের শীর্ষকর্তা হওয়ার দৌড়ে সালাউদ্দিনের একমাত্র প্রতিপক্ষ এখন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও মোহামেডানের সাবেক খেলোয়াড় মানিক।

ইশতেহারে তৃণমূলের ফুটবলকে প্রাধান্য দেয়া ছাড়াও জেলা ফুটবল এবং পাইওনিয়ার থেকে প্রিমিয়ার লিগ পর্যন্ত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়মিত খেলা আয়োজন করার কথা বলেছেন মানিক। তার ইশতেহারে জাতীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর মেজো ছেলে শেখ জামালের নামে প্রতি বছর অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ঘরোয়া টুর্নামেন্টের বাস্তবায়নযোগ্য ক্যালেন্ডার কঠোরভাবে মেনে চলারও ঘোষণা রয়েছে ইশতেহারে।

একই সঙ্গে ভিশন ২০৩৩ ঘোষণা করেছেন জাতীয় দলের এই সাবেক কোচ। তার ভিশনে রয়েছে অলিম্পিক উপযোগী যুব দল গঠন করা, যারা একসময় অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। জাতীয় দল নিয়েও ভাবনা রয়েছে মানিকের ইশতেহারে। তিনি নির্বাচিত হলে জাতীয় দলের ফুটবলারদের বেতন কাঠামো ও বীমার ব্যবস্থা করতে চান।

এ ছাড়া যে কোনো ধরনের আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলেছেন তিনি। নির্বাচিত হলে ঘরোয়া ফুটবলের ‘ক্যানসার’ খ্যাত পাতানো ম্যাচ চিরতরে বন্ধ করারও ব্যবস্থা নেবেন। একই সঙ্গে ২১ দফা ইশতেহারে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মানিক বলেন, ‘কাউন্সিলরদের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। উনারা টাকার কাছে বিক্রি হবেন না। আমার সঙ্গে প্রায় ১০০ কাউন্সিলরের কথা হয়েছে। সেখানে ২০ জনও বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পক্ষে নেই। আমি আশাবাদী, নির্বাচনে কাউন্সিলররা আমাকে ভোট দেবেন।’

মানিককে সমর্থন দিতে ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন একসময়ের তারকা ফুটবলার তার সাবেক সতীর্র্থ সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির। মানিকের পক্ষে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি গেল ১২ বছর সালাউদ্দিনের কমিটি যে কোনো উন্নতি করতে পারেনি, তার ফিরিস্তি তুলে ধরেন তিনি। ‘যারা ১২ বছরেও ফুটবলের উন্নতি করতে পারেননি, তারা আগামী চার বছরেও করতে পারবেন না’, বলেছেন সাব্বির।

Facebook Comments