স্পোর্টস ডেস্ক
গত মৌসুমে ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরুর দিকটায় সবাইকে চমকে দিয়েছেন আনসু ফাতি। বার্সেলোনার হয়ে গড়েছেন একটার পর একটা রেকর্ড। ক্লাব ফুটবলের দুরন্ত ছন্দটা জাতীয় দলেও বয়ে আনলেন বার্সা ফরওয়ার্ড। স্পেনের জার্সিতে দ্বিতীয় ম্যাচে গড়ে ফেললেন দুর্দান্ত একটা রেকর্ড।
মাদ্রিদের আলফ্রেদো দি স্তেফানো স্টেডিয়ামে রবিবার এমন একটি ম্যাচে ১৭ বছর ৩১১ দিন বয়সে স্পেনের হয়ে গোল করেন বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড ফাতি। রেকর্ডটি এতদিন হুয়ান এরাজকুইনের দখলে ছিল। ১৯২৫ সালে ১৮ বছর ৩৪৪ দিন বয়সে স্পেনের হয়ে গোল করেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসেও ফাতি সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। স্পেন এগিয়ে যায় মাত্র তিন মিনিটের মাথায়। ফাতির জয় করা পেনাল্টি থেকে গোল করেন রামোস। পরে ২৯ মিনিটে হেডে আরেকটি গোল করেন তিনি। এই নিয়ে শেষ ১৫ ম্যাচে ১০টি গোল করলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার। লা লিগায় বার্সার হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করা ফাতি এদিন জাল খুঁজে পান ৩২তম মিনিটে। রেগিলনের ছোট পাস ধরে এক টোকায় একটু এগিয়ে জায়গা বানিয়ে ডান পায়ের বাঁকানো শটে ব্যবধান বাড়ান।
এর আগে স্পেনের প্রথম গোলেও অবদান রেখেছেন ফাতি। সতীর্থ ও অধিনায়ক সার্জিও রামোস পেনাল্টি থেকে যে গোলটা করেছেন সেটা পাইয়ে দিয়েছেন তিনিই। অবশ্য স্পেনের হয়ে রেকর্ড গড়লেও ফাতি আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। গিনি-বিসুয়ায় জন্ম নেওয়া এই উইঙ্গার ১০ বছর বয়সে বার্সার একাডেমিতে যোগ দেন। পরে স্পেনের নাগরিকত্ব পান তিনি।গত বছরের আগস্টে বার্সার জার্সিতে অভিষেক হয় তার। এক সপ্তাহ পরই ক্লাবের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোলের কীর্তি গড়েন ফাতি। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগেও সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। সবমিলিয়ে বিদায়ী মৌসুমটা বার্সার জন্য কঠিন হলেও দুর্দান্ত কেটেছে ফাতির জন্য। গত মৌসুমে ৩৩ ম্যাচে আট গোল করেছেন তিনি।শিষ্যের পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি স্পেন কোচ লুইস এনরিকে। ম্যাচ শেষে ফাতির জন্য প্রশংসার ঝাঁপি খুলে দিলেন তিনি, ‘ফাতি খুব আত্মবিশ্বাসী। এটা মোটেই স্বাভাবিক নয়। আপনি ওর বয়স বিবেচনা করুন। বার্সেলোনা, চ্যাম্পিয়নস লিগে ও একই কাজটা করেছে (সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে হিসেবে গোল)।