কিশোর উন্নয়ণ কেন্দ্রের পাঁচ কর্মকর্তা রিমান্ডে

মোরশেদ আলম

যশোর প্রতিনিধি :

যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে (বন্দি) তিন কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা এবং আরো অন্তত ১৫ জনকে বেদম মারপিটের ঘটনায় আটক পাঁচ কর্মকর্তাকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

তারা হলেন,কেন্দ্রটির সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ,প্রবেশন অফিসার মাসুম বিল্লাহ, কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুক, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলম ও সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান।

এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মাসুম বিল্লাহ ও মুশফিকুর রহমানকে পাঁচ দিন করে এবং শাহানুর আলম ও ওমর ফারুককে তিন দিন করে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রকিবুজ্জামান অভিযুক্তদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রে যে হতাহতের ঘটনা ঘটে,প্রাথমিকভাবে তা বিশ্লেষণ করে এই পাঁচজনকে দায়ী হিসেবে মনে করছে পুলিশ।

যশোরের পুলিশ সুপার মো. আশরাফ হোসেন বলেন,ঘটনার পর থেকে আমরা অনেকের সাথে কথা বলেছি। তাতে বিষয়টি পরিষ্কার,আটক এই পাঁচজন দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। তাদের দায়িত্ব নিতেই হবে। আমরা অভিযোগ পেয়েছি, অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত তাদের ডেকে নেওয়া কিশোরদের মারপিট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কয়েক কর্মকর্তা। মারপিটের সাথে জড়িত ৭-৮ জন বন্দি কিশোরও জড়িত।

তিনি বলেন,এখানে যারা বন্দি আছে এদের অনেকেই হত্যা ও ধর্ষণের মতো ঘটনার সাথে জড়িত। সংশোধিত হওয়ার জন্য তারা দীর্ঘদিন এখানে আছে। এদের একটি গ্রুপের সাথে কর্তৃপক্ষের ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়। কর্মকর্তাদের অনুগত এই গ্রুপ দিয়েই ১৩ বন্দি কিশোরের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। সেই ৭-৮ জন কারা তা তদন্ত করে বের করা হবে। প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রের পাঁচ কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় তাদের আটক করা হয়েছে।

এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় যে মামলা করা হয়েছে তা তদন্ত করবেন চাঁচড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রকিবুজ্জামান।

Facebook Comments