এলাচের উপকারিতা

দেশবাংলা ডেস্ক :

খাবারে স্বাদ বাড়াতে এলাচ ব্যবহার করা হয়।নিজস্ব একটি সুগন্ধ যেমন আছে এই মসলার, তেমনি মানবদেহের জন্য বেশ উপকারীও এটি।
ঠাণ্ডা-সর্দিতে আরাম পেতে চায়ের সাথে আদা, পুদিনা পাতা, দারুচিনি ও লবঙ্গের পাশাপাশি এলাচও মেশাতে পারেন। একটি পাত্রে পানি, দুধ ও চা পাতার সাধে ২/৩ টি এলাচ মিশিয়ে গরম করে নিন। এই মিশ্রণটি গরম হলে এর সাথে চিনি ও মধু মেশাতে পারেন।
এলাচের উপকারিতা
দুধের সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন এলাচ মিশিয়ে। এক গ্লাস দুধের সাথে ২/৩টি এলাচ মিশিয়ে নিন। এলাচ থেকে বীজ বের করে সেগুলো গুঁড়ো করে নিতে হবে। দুধটুকু গরম করার পর ঐ এলাচ গুঁড়ো তাতে মেশান। এর সাথে জাফরান, বাদামের গুঁড়ো ও মধু মেশাতে পারেন প্রয়োজন মতো। এই পানীয় আপনার ওজন কমাতে ভূমিকা রাখবে।
এলাচে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ থাকে। এই মিনারেল রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক রাখে। এ কারণে খাবারের সাথে এলাচ মিশিয়ে খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক থাকে।
এক কাপ পিচ ফলের জুসে এক চিমটি এলাচ গুঁড়ো ও এক টেবিল চামচ ধনে গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে উচ্চ রক্তচাপ কমে।এলাচের খোসা থেকে এর বীজগুলো বের করে এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে পান করতে বলেন পুষ্টিবিদরা। ওজন কমাতে পানির গ্লাসে রাখা এলাচের বীজ সারারাত রেখে দিয়ে পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পান করুন।
বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এলাচ বেশ উপকারী। ভরপেট খাওয়ার পর একটা এলাচ মুখে নিয়ে চিবালে পাকস্থলীর সমস্যা দূর হয়।

Facebook Comments