দরিদ্রদের কয়েক মাস খাবারের ব্যবস্থা করুন: ড. কামাল

করোনা পরিস্থিতিতে অনাহার, অপুষ্টির শিকার (বিশেষ করে শিশুদের) মানুষদের বাঁচাতে অন্তত কয়েক মাস খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করার দাবি জানিয়েছে গণফোরাম।
সোমবার দুপুরে এক বিবৃতিতে এমনটা বলেছেন গনফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া।
বিবৃতিতে এই দুই রাজনীতিক উদ্ভূত বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা বিগত এক শতকের যেকোনো মন্দার চেয়ে ভয়াবহ ও দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন।
তারা বলেছেন,বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব নিয়ন্ত্রণ দলীয় রাজনীতির কোনো বিষয় নয়, এটি জাতীয় অস্তিত্বের বিষয়। মানুষের জীবন বাঁচাতে দ্রুত দৃঢ় ও সমন্বিত নীতি গ্রহণ করতে হবে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক ত্যাগ স্বীকারের মধ্যে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
চীনে করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরু হওয়ার পর দুই মাসের বেশি সময় পেয়েও আগাম ব্যবস্থা নেয়ার ব্যর্থতা তুলে ধরে গণফোরামের দুই শীর্ষনেতা বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিষয়টি মোকাবেলায় অনেক মূল্যবান সময়ক্ষেপণ করে যৎসামান্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমিত বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের কার্যকরভাবে আলাদা রাখতে ব্যর্থতার বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। এসব ব্যর্থতার ফলে দেশের ৬৩ জন শিক্ষক ও গবেষক প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়ে একটি সম্ভাব্য কর্মপরিকল্পনা সুপারিশ করেছে।আমরা ২২ মার্চ এই ৬৩ জন বিশিষ্ট নাগরিকের প্রদত্ত গঠনমূলক ও সুবিবেচনাপূর্ণ সুপারিশগুলোকে সমর্থন করি।
ড. কামাল হোসেন ও ড. রেজা কিবরিয়া বিবৃতে আরও বলেন, ভাইরাসটির ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার সঙ্গে চীন, সিংগাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেয়া ব্যবস্থার বিস্তর ফারাক রয়েছে। কিছু কিছু দেশ জানুয়ারি মাস থেকেই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিয়েছে।অন্যান্য দেশের উদাহরণ টেনে গণফোরামের নেতারা বলেন,করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বিশ্বের বহু দেশ তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। জননিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন শহর এবং কিছু দেশ সম্পূর্ণ লকডাউন বলবৎ করেছে। অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে যাদের কোনো সঞ্চয় নেই এবং দৈনিক/সাপ্তাহিক আয়ের ওপর নির্ভরশীল, তাদের সহায়তা করতে অনেক দেশ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে সহায়-সম্পদহীন এরূপ কয়েক কোটি মানুষের অবস্থা আরো বেশি সঙ্গীন। এই মানুষগুলোকে অনাহার, অপুষ্টি (বিশেষ করে শিশুদের) ও ক্ষুধা থেকে বাঁচাতে অন্তত কয়েক মাস খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করতে হবে।

Facebook Comments