বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিম পাশের মাঠে বাণিজ্য মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম উপস্থিত ছিলেন।প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বছরের প্রথমদিনেই উদ্বোধন হলো ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০।
মেলা সূত্র থেকে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ১১২টি, মিনি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ১২৮টি ও বিভিন্ন ক্যাটাগরীর স্টলের সংখ্যা ২৪৩টি।
মেলায় প্রবেশের জন্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য টিকিটের ফি নির্ধারণ হয়েছে ৪০ টাকা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবার অনলাইন ও কিউআর কোডের মাধ্যমেও টিকেট কাটতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
মেলার আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, এবারের মেলা ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মেলার প্রধান ফটকে এসেছে পরিবর্তন। দর্শনার্থীদের জন্য মেলার ভেতরে খোলামেলা স্থান রাখা হয়েছে। যাতে পরিবার ও পরিজনদের নিয়ে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরাঘুরি করতে পারে। মেলায় থাকছে ডিজিটাল এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার। যার মাধ্যমে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা নির্দিষ্ট স্টল ও প্যাভিলিয়ন সহজে খুঁজে বের করতে পারে। মেলায় সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে আরো জানা যায়, এ বছর মেলায় থাকছে তৈরি পোশাক, হোমটেক্স, ফেব্রিকস, হস্তশিল্প, পাট-পাটজাত পণ্য, চামড়া-চামড়াজাত পণ্য, তৈজষপত্র, সিরামিক, প্লাস্টিক পণ্য, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হারবাল ও প্রসাধনী সামগ্রী। থাকবে খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী ও ফার্নিচারের স্টল।
মেলায় সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৩টি, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ৫৯টি, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬৪টি, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৪৩ টি, রেস্তোরাঁ ২টি, স্ন্যাক্স বুথ ৭টি, প্রিমিয়ার স্টল ৮৪টি, সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন ৬ টি, সংরক্ষিত মিনি প্যাভিলিয়ন ৮টি, সাধারণ স্টল ১০৭টি, ফুড স্টল ৩৫ টি, বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৭টি, বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন ১১টি এবং বিদেশি প্রিমিয়ার স্টল ১৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।মেলায় বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। রয়েছে পর্যাপ্ত ক্লোজড সার্কিট টিভি ক্যামেরা।

Facebook Comments