বর্তমান পরিস্থিতিতে গর্ভবতী মায়ের সাবধানতা

ডাঃ ফারজানা শারমিন শুভ্রা
সহকারী অধ্যাপক ,গাইনি এন্ড অব্স ,পিজি হাসপাতাল

করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের মাঝে শিশু, বৃদ্ধের পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েরাও বর্তমান পরিস্থিতিতে আছেন শঙ্কায়। কিছুটা ঝুঁকিও রয়েছে তাদের। কারণ গর্ভকালীন সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় সাধারণ সময়ের থেকে অনেক বেশি। তবে খুব বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের সঙ্গে আগে মোবাইলে পরামর্শ করুন এবং পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবেন। বিনা প্রয়োজনে হাসপাতালে না যাওয়াই উত্তম। কারণ হাসপাতালসহ বাইরের যেকোনো জায়গা থেকে করোনা কিংবা অন্য কোনো জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে গর্ভবতী মায়ের সাবধানতা-

* সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ও ওষুধ সেবন করা থেকে গর্ভবতী মায়েদের বিরত থাকতে হবে।

* প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া ও গণপরিবহন এড়িয়ে চলা।

* করমর্দন, কোলাকুলি না করা।

* সবার থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা।

* পরিবারের সবাই বার বার কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া

* সাবান দিয়ে কাপড় ধোয়া

* সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা

* নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও পানি বেশি বেশি খাওয়া

* সুসিদ্ধ রান্না করা খাবার খাওয়া

* গর্ভকালীন সময়ে মায়ের স্বাভাবিক চেকআপ, খুব সমস্যা হলে ডাক্তারে সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে সমাধান নেওয়া

* আয়রণ, ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম ও পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাওয়া

রোজা রাখলে গর্ভবতী মায়ের করণীয়

* রোজার ইফতারের পর থেকে সেহেরি পর্যন্ত স্বাভাবিকের থেকে বেশি খাবার খেতে হবে, এসময় অল্প অল্প করে বারে বারে খাবার খাওয়া যেতে পারে।

* গরমের দিনে এবারের রমজান হওয়ায় ফ্লুইড ব্যালেন্সের জন্য বেশি বেশি পানি পান করা, তবে খুব বেশি পানি পান করার ফলে আপনার অস্বস্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।

* পাশাপাশি ফলের শরবত ও পুষ্টিকর তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি পান করা।

* ইফতারের সময় বেশি ভাজাপোড়া এবং তেল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।

* আয়রণ, ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম ও পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাওয়া।

* ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ সেবন না করা।

* যদি কারো গর্ভাবস্থায় কিছু ওষুধ সেবন করতে হয়, তারা চিকিৎসকের পরামর্শে দিনের ওষুধগুলো রাতেও হিসেব অনুযায়ী খেতে পারেন।

* প্রতিনিয়িত গর্ভের সন্তানের নড়াচড়া লক্ষ করা

এছাড়া পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মানসিক ও সামাজিক সমর্থনসহ গর্ভবতী মায়ের যত্ন নিতে হবে। আর প্রসবের সময় অপারেশন এর প্রয়োজন হলে নির্ধারিত হাসপাতাল ও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা খুবই প্রয়োজন।

Facebook Comments