শপিং ব্যাগে পাওয়া নবজাতকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন এসপি

পটুয়াখালীর দুমকিতে শপিং ব্যাগ থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক শিশুটি এখন অনেকটা শঙ্কামুক্ত। শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ বেলাল হোসেন। বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় নবজাতক ইউনিটে শিশুটি চিকিৎসাধীন। নবজাতকটি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত বলে তার লালন-পালনের দায়িত্ব নেওয়া নুরজাহান বেগমকে আশ্বস্ত করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা।
গত শনিবার সকালে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে নবজাতক শিশুটিকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সিদ্ধার্থ সাহা জানান, নির্ধারিত সময়ের প্রায় আট সপ্তাহ আগে নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হওয়ায় তার ফুসফুস অপূর্ণাঙ্গ। এতে স্বাভাবিকভাবে অক্সিজেন গ্রহণ করতে না পারায় ক্রমশই ফুসফুস সংকুচিত হচ্ছে। এমন অবস্থায় দ্রুত উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
খবর পেয়ে পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ বেলাল হোসেন জেনারেল হাসপাতালে ছুটে যান এবং শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এসময় তিনি শিশুটির চিকিৎসার খরচ বহনের ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন। পরে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ওই দিনই উন্নত শিশুটিকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নবজাতক শিশুর লালন-পালনের দায়িত্ব নেওয়া নূরজাহান বেগম ও তার ছোট ছেলে রিপন গাজী সার্বক্ষণিক শিশুটির সঙ্গে রয়েছেন।
রিপন গাজী জানান, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো টাকা-পয়সা দেওয়া হয়নি। ওষুধপত্রসহ চিকিৎসার যাবতীয় খরচ নির্বাহের জন্য সমাজসেবা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সমাজসেবা বিভাগের কেউই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ঈদুল ফিতরের আগের দিন মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বাদশাবাড়ি এলাকার জনৈক সোহরাব গাজী ক্ষেতের কাজে যাওয়ার সময় ঝোপের ভেতর শপিং ব্যাগে নবজাতক ছেলে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম শিশুটিকে লালন-পালন করছেন।

Facebook Comments