জান্নাতি দশ সাহাবি

দশজন সাহাবির ব্যাপারে রাসুল (সা.) দুনিয়াতেই সুসংবাদ শুনিয়ে দিয়েছেন যে, তারা জান্নাতের অধিবাসী। সৌভাগ্যবান দশ সাহাবি হলেন

১. হজরত আবু বকর (রা.)। তার আসল নাম আব্দুল্লাহ বিন উসমান বিন আমর। তার উপাধি আতীক ও সিদ্দীক। তার মায়ের নাম উম্মুল খায়ের। পুরুষদের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। তার হাতে হজরত উসমান বিন আফফান, হজরত জুবাইর, হজরত তালহা, হজরত আবদুর রহমান বিন আউফ প্রমুখ বড় বড় সাহাবি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তিনি রাসুল (সা.)-এর হিজরতের সাথী। ইসলামের প্রথম খলিফা। ৬৩ বছর বয়েসে তিনি ইন্তেকাল করেন।

২. হজরত উমর বিন খাত্তাব (রা.) বিন নুফাইল বিন আবদুল উজ্জা। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। খলিফাদের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম ‘আমিরুল মুমিনিন’ খেতাবে ভ‚ষিত হন। তার খেলাফতকাল ছিল দশ বছর ছয় মাস চার দিন। আল্লাহ তাআলা তার দ্বারা ইসলামকে শক্তিশালী করেছেন।

৩. হজরত উসমান (রা.) বিন আফফান বিন আবিল আস।

ইসলামের তৃতীয় খলিফা। তার খেলাফতকাল এগার বছর এগার মাস কয়েক দিন।

৪. হজরত আলী (রা.) বিন আবু তালিব বিন আবদুল মুত্তালিব। সাত বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তাবুক ছাড়া সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ইসলামের চতুর্থ খলিফা ও রাসুল (সা.)-এর জামাতা।

৫. হজরত তালহা (রা.) বিন উবাইদুল্লাহ বিন উসমান বিন উমর। উহুদ যুদ্ধে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে অত্যন্ত মজবুতভাবে অবস্থান নিয়েছিলেন। চব্বিশ স্থানে আঘাত পেয়েছিলেন। তখন নবী (সা.) তার নাম রেখেছিলেন তলহাতুল

খায়র। তিনি জামাল যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন।

৬. হজরত জুবাইর (রা.) বিন আওয়াম বিন খুয়াইলিদ। সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। হাবশায় হিজরত করেছিলেন। তিনি সর্বপ্রথম ইসলামের পক্ষে তরবারি চালিয়েছিলেন। তার আকৃতিতে ফেরেশতাগণ বদর যুদ্ধে অবতরণ করেছিলেন। তিনি জামাল যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন।

৭. হজরত আবদুর রহমান (রা.) বিন আউফ বিন আবদুল হারিস। হাবশায় হিজরত করেছিলেন। সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

৮. হজরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.)। তিনি সর্বপ্রথম ইসলামের পক্ষে তীর নিক্ষেপ করেন। উহুদ যুদ্ধে তাকে রাসুল (সা.) বলেছিলেন, ‘তোমার ওপর আমার মা-বাবা কোরবান হোক, তীর নিক্ষেপ কর।’ তিনি সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

৯. হজরত সাঈদ বিন জায়েদ ইবনে উমর বিন নুফাইল। বদর যুদ্ধ ছাড়া অন্য সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

১০. হজরত আবু উবাইদাহ আমের বিন আবদুল্লাহ বিন জাররাহ। সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনিই উহুদ যুদ্ধে রাসুল (সা.)-এর চোয়ালে বিঁধে যাওয়া লৌহবর্ম দাঁত দিয়ে বের করেছিলেন।  তখন তার সামনের দুই দাঁত পড়ে গিয়েছিল।  (আলমুজতবা মিনাল মুজতবা : ৪১-৪৪; তিরমিজি : ৩৯৯৪)

Facebook Comments