মসজিদ হামলায় নিহতদের দাফন শুরু

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের লাশ দাফন শুরু হয়েছে। বুধবার এ প্রক্রিয়ার প্রথম দফায় দুইজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। যদিও হামলার ঘটনার পর নিহতদের দাফন প্রক্রিয়া শুরু হতে পাঁচদিন সময় লেগে গেছে।গত শুক্রবার ওই মসজিদ হামলায় ৫০ জন নিহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৯ জন হাসপাতালে রয়েছেন। আটজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।বুধবার যে দুজনের লাশ দাফনের জন্য নেওয়া হয়, তারা বাবা ও ছেলে। সিরীয় শরণার্থী খালেদ মুস্তাফা এবং তার ছেলে হামজাকে সমাধিস্থল ক্রাইস্টচার্চ মেমোরিয়াল পার্ক সেমেটারিতে দাফন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে শত শত শোকার্ত মানুষ অংশ নেন। পুরো স্থানজুড়ে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সমাধিস্থলে আরও কয়েকটি কবর খোঁড়া হয়েছে। খাটিয়া থেকে লাশ কবরে নামানোর সময় এক আবেগঘন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।এর আগে লাশ শনাক্তকরণে বিস্তারিত প্রক্রিয়া মেনে নিউজিল্যান্ড পুলিশ ঘটনার দুদিন পর রোববার থেকে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর শুরু করে। আজ লাশ হস্তান্তর শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।গত শুক্রবারের হামলার চারদিন পর মাত্র ছয়জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। মসজিদে হামলায় নিহতদের বেশিরভাগেরই পরিচয় শনাক্ত করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মোট ১২ জনের মরদেহ শনাক্ত করতে পেরেছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। আর চিহ্নিত বারোটি মরদেহের মধ্যে ছয়টি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।তবে ইসলামিক রীতি অনুযায়ী কেউ মৃত্যুবরণ করলে যত দ্রুত সম্ভব দাফন সম্পন্ন করতে হয়। বিশেষ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করার নিয়ম আছে। কিন্তু পাঁচদিন পরেও প্রিয়জনের মরদেহ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত অনেকের পরিবার।এদিকে লাশ হস্তান্তরে দেরি প্রসঙ্গে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ বলেছেন, হামলার ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। হত্যা প্রমাণে বিচারককে সন্তুষ্ট করতে প্রতিটি মৃত্যুর কারণ বিস্তারিতভাবে শনাক্ত করতে হবে। কীভাবে মৃত্যু হলো, তা না উল্লেখ করে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। তাই বিচারের কথা বিবেচনায় রেখে কাজটি সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে করা হচ্ছে।

Facebook Comments