প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বর্তমান সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম হবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।২০৪১ সালে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ ও মেধাসম্পন্ন জাতিতে পরিণত হব এমন আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায়, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এবং আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে মানসম্মত ও জীবনমুখী শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম হব এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির পথে।তিনি বলেন, আমরা ২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে যাচ্ছি। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে মোট ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২ টি বই বিতরণ করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী শিশুদের ভর্তির হার বৃদ্ধি, ঝরেপড়ার হার কমানো, বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বৃদ্ধি, শিক্ষাচক্র সমাপনের হার বৃদ্ধিসহ মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন সম্ভব হচ্ছে।তিনি বলেন, ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়। ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল উন্নীত করা হয়েছে।শেখ হাসিনা বলেন,প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে এবং এ উপবৃত্তির টাকা তাদের মায়ের মোবাইলে পৌঁছে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, স্কুল ও কলেজের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনসহ দেশে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছি।প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ১৯৭২ সালে কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। জাতির পিতা ৩৬ হাজার ১৬৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন।

Facebook Comments