রোকেয়া হলে উদ্ধারকৃত ব্যালটগুলো ভুয়া

রোকেয়া হল থেকে উদ্ধারকৃত ব্যালটগুলো ভুয়া,মূল ব্যালটের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই বলে দাবি করেছেন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী গোলাম রাব্বানী। সোমবার বিকাল ৪টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।গোলাম রাব্বানী বলেন, কীভাবে ব্যালট হাতছাড়া হওয়ার ঘটনা ঘটানো ঘটলো, পুরো জাতি তা দেখল। দরজা ভেঙে আমাদের শিক্ষিকাদের লাঞ্ছিত করে তারা সেটা বাইরে নিয়ে গেছে। এই ব্যালটগুলো ভুয়া ব্যালট, মূল ব্যালটের সঙ্গে এর মিল নেই। যারা ভোট বর্জনের কথা বলছেন তারা নাটকটি সুন্দর করে মঞ্চস্থ করতে চেয়েছিলেন। তাদের প্রতি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন নেই বুঝে তারা একটি সেফ এক্সিট খুঁজছিল।কুয়েত মৈত্রী হলসহ বিভিন্ন ঘটনায় ভোট দিতে না পারা এবং বাধা দেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,কোন হলে কাকে বাধা দেওয়া হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হবে। আমরা শতভাগ ভোট কাস্ট হোক সেটা চেয়েছি। সবাই যেন ভোট দিতে পারে সেজন্য আমরা আন্তরিক ছিলাম। যেখানেই অভিযোগ শুনেছি, আমরা ছুটে গিয়েছি এবং সমাধানের চেষ্টা করেছি।কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নূরুল হক নূর রোকেয়া হলে আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে রাব্বানী বলেন,তিনি হিট স্ট্রোক করে থাকতে পারেন, রাতে ঘুমও হয়তো কম হয়েছে। তার গায়ে একটা আঁচড়ও কেউ দেয়নি।নূর ছাত্রদলের প্রার্থীসহ আমরা সেখানে ব্যালট বাক্স দেখি। দেখা যায় কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু নূর ব্যালট বাক্স দেখে ভুল তথ্য দেন সাংবাদিকদের কাছে।রোকেয়া হলের একটি কক্ষ থেকে তিন ট্রাঙ্ক ব্যালট উদ্ধারের পর ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে দুপুর ৩টার দিকে ফের ভোট শুরু হয়। এছাড়া কুয়েত মৈত্রী হলের প্রার্থী ও ভোটাররা জানান, ভোট শুরুর আগে থেকে হলের অডিটোরিয়ামে একটি কক্ষ বন্ধ ছিল। সকালে সেই কক্ষ থেকে প্রার্থী ও ভোটাররা এক বস্তা ব্যালট পেপার উদ্ধার করেন। তাতে ছাত্রলীগের প্রার্থীদের নামে সিল মারা ছিল। পরে প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগে নির্বাচনি কর্মকর্তারা ভোট বন্ধ করে দেন। এক ঘণ্টা পর আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।সকাল ৮টা থেকে ডাকসুর ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে বিভিন্ন হলে সিল দেওয়া ব্যালট উদ্ধারের ঘটনা এবং ছাত্রলীগ ছাড়া অন্য প্রার্থীদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ বাধাদানের অভিযোগ এনে দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন প্রার্থীরা। ছাত্রলীগ বাদে অন্য সব প্যানেলের প্রার্থীরাই ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। এর মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, ছাত্র ফেডারেশনসহ বিভিন্ন পদের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নতুন ভোট গ্রহণের পাশাপাশি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।

Facebook Comments