গ্রামীনফোনের চতুর্থ প্রান্তিকে রাজস্ব বেড়েছে

গ্রামীণফোন লি. ২০১৮ সালে ১৩২.৮ বিলিয়ন টাকা রাজস্ব আয় করেছে যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৩.৪ % বেশি ।২০১৮ সালে ইন্টারনেট থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ২১%, এবং ভয়েস থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ৬.৬%।শুধুমাত্র চতুর্থ প্রান্তিকে রাজস্ব ৭.৭% বেড়েছে।২০১৮ সালে ৭৪ লক্ষ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোনের যোগ দিয়েছে যেখানে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১১.৩%।গতবছর (২০১৮) গ্রামীণফোনে যুক্ত হয়েছে ৫৯ লক্ষ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক;যার ফলে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দাড়িয়েছে মোট গ্রাহকের ৫১%।গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, ২০১৮ বাজারে খুবই প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে ছিল কিন্ত আমাদের পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক ফলাফল এনে দিয়েছি।ফেব্রুয়ারিতে আমরা ৪জি চালু করেছিলাম এবং কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নানা নির্দেশাবলীর কারণে এবছর নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে।তারপরও আমাদের ভয়েস ও ডাটা খাতে প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক ছিলো।ভবিষ্যতে আমাদের কর্মপদ্ধতিকে আরো দক্ষ ও দ্রুতগতি সম্পন্ন করে,প্রমাণিত কৌশলগত অগ্রাধিকার নিয়ে কাজ অব্যাহত রাখার মাধ্যমে কোম্পানিকে সম্মানিত গ্রাহক, শেয়ারেহাল্ডারদের ও এমপ্লয়ীদের মূল্যায়ন করতে পারবো বলে আশা করি।গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন,গ্রামীণফোন দক্ষতা এবং শক্তিশালী মুনাফা প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আরেকটি বছর সম্পন্ন করেছে।এটা সম্ভব হয়েছে গ্রাহক এবং তাদের সেবা ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে।২০১৮ সালে আমরা সেবার মূল্য নির্ধারণ বিশেষ করে ইন্টারনেটের মূল্য ও ভয়েস ট্যারিফ নির্ধারণে বেশ প্রতিযোগিতা সন্মুখীন হয়েছিলাম।
তিনি আরো বলেন, এই বাজারের প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা,দক্ষতা বৃদ্ধি ও সহজীকরণ উদ্যোগে বিশেষ মনোযোগ দেয়ায় এই কোম্পানি আগামীতেও লাভজনক প্রবৃদ্ধি এনে দিতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী। আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে,সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বোর্ড অফ ডিরেক্টররা শেয়ার প্রতি ২৮ টাকা চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেছেন।এর আগে ২৭ জানুয়ারী ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় ২০১৮ সালে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ২৮ টাকা লভ্যাংশ সুপারিশ করা হয়।এর ফলে, ২০১৮ সালের মোট নগদ লভ্যাংশের পরিমান দাঁড়ালো পরিশোধিত মূলধনের ১৫৫ শতাংশ যা ২০১৮ সালের কর পরবর্তী মুনাফার ১০৮% (এর মধ্যে রয়েছে ১২৫শতাংশ অন্তবর্তী নগদ লভ্যাংশ)। রেকর্ড তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯- তে যারা শেয়ারহোল্ডার থাকবেন তারা এই লভ্যাংশ পাবেন যা ২৩ এপ্রিল ২০১৯ এ অনুষ্ঠতব্য ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভার দিন শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল।গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, ২০১৯ সালে বাস্তবায়ন হতে পারে এমন বেশ কিছু নীতি নির্ধারন বিষয় এখন আলোচনাধীন। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আসন্ন এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) এবং টাওয়ার শেয়ারিং লাইসেন্সিং এবং সেবার মান সংক্রান্ত বিধিমালা। আমরা মোবাইল শিল্পের সেবাকে আরো উন্নত করতে সরকার ও এই খাতের মধ্যে অর্থপূর্ণ আলোচনার বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতির কথা আবারো উল্লেখ করছি, যা বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিকে অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে।

Facebook Comments