ভোটের মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। মঙ্গলবার দুপুরে রঙ্গভবনে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান ধর্মযাজকবৃন্দ এবং দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তথা জনগণের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শান্তি আর সমৃদ্ধির এক জনপদ বাংলাদেশ। এ অর্জনের পেছনে রয়েছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের নিরলস শ্রম আর অব্যাহত প্রচেষ্টা। আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পেছনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিবাচক অবদান অনস্বীকার্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর চারদিন পরই একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন। আমি আশা করব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের এ ধারাকে আরো এগিয়ে নিবেন।
জাতির পিতা একটি সুখী-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণসহ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।’
এর আগে যীশুখ্রিস্টকে ‘মানবজাতির মুক্তির দূত, আলোর দিশারী আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রপতি’ বলেন, ‘বহু ত্যাগ-তিতীক্ষার বিনিময়ে তিনি সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও খ্রিস্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন। মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের উপর গুরুত্ব দেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি। ’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং তার সহধর্মিনী রাশিদা খানম বড়দিন (ক্রিসমাস ডে) উপলক্ষে দুপুরে বঙ্গভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গের জন্য এক সংবর্ধনা আয়োজন করেন।
বাংলাদেশের কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও, বিভিন্ন বিদেশী কূটনৈতিক মিশনে দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিবৃন্দ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও পেশাজীবীরা এই সংবর্ধনায় যোগ দেন।
এ উপলক্ষে বঙ্গভবনে আলোকসজ্জিত একটি ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন করা হয়েছে। একদল সংগীতশিল্পী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ‘ক্রিসমাস ক্যারল’ পরিবেশন করেন।
পরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে একটি ‘ক্রিসমাস কেক’ কাটেন।

Facebook Comments