ভারতই জিতলো

মাত্র ২২৫ রানের লক্ষ্যে নেমেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু ঘাম ছুটেছে তাদের। মাত্র ২০ রানে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী জুটি। মোহাম্মদ সামি ১০ রানে বোল্ড করেন ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাইকে।
এরপর অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবের সঙ্গে রহমত শাহ এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। ২৭ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হন নাইব। ৪৪ রানে ভাঙে এই জুটি। পরে তৃতীয় উইকেটে হাসমতউল্লাহ শহীদী প্রতিরোধ গড়েন রহমতের সঙ্গে। কিন্তু ৪২ রানের এই জুটি ভেঙে ম্যাচের মোড় পাল্টে দেন জসপ্রীৎ বুমরাহ।
৩৬ রানে রহমত আউট হওয়ার দুই বল পর বুমরাহ ফিরতি ক্যাচে ফেরান হাসমতউল্লাহকে (২১)। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা আফগানিস্তান লড়াই করতে থাকে মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে। নাজিবউল্লাহ জাদরানের সঙ্গে ৩৬ রানের এবং রশিদ খানকে নিয়ে তার ২৪ রানের জুটি ম্যাচে উত্তেজনা ধরে রাখে।প্রথম ত্রিশ ওভারে মাত্র ১০৭ রান করতে সক্ষম হয় তারা। উইকেট হারিয়ে ফেলে ৪টি। দুই ওপেনারের পর তেমন কিছু করতে পারেননি দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান রহমত শাহ (৬৩ বলে ৩৬) ও হাশমতউল্লাহ শহিদি (৪৫ বলে ২১)।
৪৮তম ওভারে রিভিউ নিয়ে জীবন পাওয়া নবী শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ দুই ওভারে ২১ রান দরকার ছিল আফগানদের। বুমরাহ তার শেষ ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫ রান দেন। তাতে শেষ ওভারে তাদের লক্ষ্য ছিল ১৬ রানের। সামির ওভারে প্রথম বলে ৪ মেরে নবী উত্তেজনা বাড়ালেও তৃতীয় বলে পান্ডিয়ার ক্যাচ হন। ৫৫ বলে চারটি ৪ ও একটি ছয়ে ৫২ রান করেন তিনি। শেষের ৩ ওভারে তাদের জয়ের জন্য বাকি ছিলো ২৪ রান। তখনই ৪৮তম ওভারে মাত্র ৩ রান খরচ করেন মোহাম্মদ শামি, ৪৯তম ওভারে বুমরাহ দেন আরও ৫ রান। ফলে শেষ ওভারে আফগানিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ১৬ রান।পরের দুই বলে আফতাব আলম ও মুজিব উর রহমানকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক করেন সামি।

Facebook Comments