রাজধানীর মহাখালীতে অবরোধ তুলে নিয়েছেন সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আপিল বিভাগের আদেশের পর দুপুর আড়াইটার দিকে মহাখালীর আমতলী থেকে সড়ক অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এ সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিতুমীর কলেজের সহসমন্বয়ক মেহেদী হাসান জানান, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা আজকের মতো তাদের অবরোধ কর্মসূচি সমাপ্ত করেছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী তারা সারা দেশের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরবর্তী কর্মসূচি পালন করবেন।
এর আগে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার বিষয়ে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর আমতলী পয়েন্টে এয়ারপোর্ট রোড অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। শত শত শিক্ষার্থী রাস্তায় অবস্থান করে কোটাবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় দুই পাশের সব ধরনের যানবাহন আটকে পড়ে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা রাস্তা থেকে সরে গেলে মহাখালী এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: রাইসুল ইসলাম
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে বুধবার সারাদেশে দিনভর ‘বাংলা ব্লকেড’ এর ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বুধবার থেকে সকাল-সন্ধ্যা বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছি।’
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই বুধবার মহাখালীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুরে মহাখালী দিয়ে যাওয়া সব রাস্তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেন শিক্ষার্থীরা।
গত কয়েকদিন ধরেই কোটা সংস্কারের দাবিতে ব্লকেড কর্মসূচির আওতায় ঢাকা, বরিশাল ও রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।