আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলের হেরাত প্রদেশে আঘাত হানা শক্তিশালী ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৪ জন নিহত এবং ৭৮ জন আহত হয়েছেন। ভূমিকম্পে অনেক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশে ওই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পর পাঁচটি বড় ধরনের আফটারশক হয়েছে; যার কেন্দ্রস্থল ছিল ওই অঞ্চলের বৃহত্তম শহরের কাছে।
দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম প্রদেশ হেরাতের জনস্বাস্থ্য পরিচালক মোহাম্মদ তালেব শহিদ ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, কেন্দ্রীয় হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মরদেহ আনা হয়েছে। তবে এটি চূড়ান্ত সংখ্যা নয়। অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, শনিবার আঘাত হানা ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল হেরাত শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে। এই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে ৫ দশমিক ৫, ৪ দশমিক ৭, ৬ দশমিক ৩, ৫ দশমিক ৯ ও ৪ দশমিক ৬ মাত্রার পাঁচটি শক্তিশালী আফটারশক অনুভূত হয়েছে।
তালেবান সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, সকাল ১১টার দিকে ভূমিকম্প শুরু হওয়ার সাথে সাথে হেরাতের বাসিন্দা ও দোকানদাররা ভবন থেকে রাস্তায় নেমে আসেন। এ সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন।
৪৫ বছর বয়সী হেরাতের বাসিন্দা বশির আহম এএফপিকে বলেন, আমরা অফিসে ছিলাম। সেই সময় ভবন কেঁপে ওঠে। দেওয়ালের প্লাস্টার খুলে নিচে পড়ে যায় এবং দেওয়ালে ফাটল ধরে। ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়ে। তিনি বলেন, মোবাইলের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় আমি পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমি খুব চিন্তিত এবং ভীত। এটা অত্যন্ত ভয়াবহ ব্যাপার।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোল্লাহ জান সায়েক এএফপিকে বলেছেন, হতাহতের ওই সংখ্যা ‘প্রাথমিক’। গ্রামীণ ও পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের ঘটনা ঘটায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।