জীবিত অবস্থায় যাদের স্পর্শ করা ও চুমু খাওয়া বৈধ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৃত্যুর পরও তাদের চুমু খাওয়া ও স্পর্শ করা বৈধ থাকে। পুরুষরা মৃত পুরুষকে এবং নারীরা মৃত নারীকে চুমু খেতে পারবেন। আয়েশা (রা.) বলেছেন, সাহাবি উসমান ইবনে মাজউনের মৃত্যু হলে নবিজি (সা.) কাঁদতে কাঁদতে তাকে চুমু খেয়েছিলেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৩১৬৩) আয়েশা (রা.) থেকে আরও বর্ণিত রয়েছে, নবীজির (সা.) মৃত্যুর পর আবু বকর (রা.) তাকে চুমু খেয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি: ৪৪৫৭)
একইভাবে নারী ও পুরুষদের জন্য তাদের মাহরাম মৃত পুরুষ ও নারীদের দেখা, স্পর্শ করা বা চুমু খওয়া বৈধ, যতটুকু দেখা ও স্পর্শ করা জীবিত অবস্থায় বৈধ ছিল।
তবে স্বামী মৃত স্ত্রীকে স্পর্শ করতে, চুমু খেতে পারবেন কি না এ বিষয়ে আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মতে, স্ত্রীর মৃত্যুর পর স্বামীর সাথে তার বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই মৃত স্ত্রীকে স্পর্শ করা বা চুমু খাওয়া স্বামীর জন্য জায়েজ নেই। তবে মৃত স্ত্রীর লাশ দেখা স্বামীর জন্য জায়েজ।
যদিও স্বামীর মৃত্যু হলে স্ত্রী তাকে স্পর্শ করতে, চুমু খেতে পারবেন। কারণ স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর সাথে তার সম্পর্ক পুরোপুরি শেষ হয় না। স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক পুরোপুরি শেষ হয় স্ত্রীর ইদ্দতের দিনগুলো অতিবাহিত হওয়ার পর। এ কারণেই ইদ্দতকালীন সময়ে বিয়ে করা নারীদের জন্য জায়েজ নেই।