বাংলাদেশের নারীদের অর্থনৈতিক ও ডিজিটাল ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সহায়তা করতে পার্টনারদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান ‘মেটা’।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ডিজিটাল প্লাটফর্মে নারী ও তরুণদের ক্ষমতায়নে ‘এমপাওয়ারিং উইমেন অ্যান্ড ইয়ুথ ইন ডিজিটাল স্পেসেস; শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মেটা ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতবছর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে নেওয়া যৌথ উদ্যোগ ও ডিজিটাল সচেতনতা বিষয়ক অর্জন নিয়ে আলোচনা করা হয় অনুষ্ঠানটিতে। তাদের এই কার্যক্রম নারীদের ডিজিটাল ক্ষেত্রের সাথে যথাযথভাবে পরিচিত হতে ও নিরাপদে তা ব্যবহার করতে সাহায্য করছে।
ব্র্যাক-এর জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর নবনীতা চৌধুরীর উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। তিনি ডিজিটাল সেবাকে সার্বজনীন করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘ডিজিটাল অ্যাকসেসের ক্ষেত্রে আমাদের নায্যতা নিশ্চিত করতে হবে, যেহেতু আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে পুরুষ ও নারীর মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেটা এবং ব্র্যাক পরিচালিত প্রোগ্রামে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ অংশগ্রহণকারী অনলাইন নিরাপত্তা, প্রাইভেসি টুল ও ভুল তথ্য মোকাবেলা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই ছিলেন নারী। সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেইনের সাহায্যে প্রায় ১ কোটি নারী ও তরুণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিরাপদ ও সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে। কার্যকারিতা-পর্যালোচনা থেকে দেখা যায়, ট্রেনিং প্রোগ্রাম শুরুর আগে যেখানে অংশগ্রহণকারীদের ৬২ শতাংশ জানতেন যে, কীভাবে একটি ইতিবাচক ডিজিটাল ফুট প্রিন্ট বজায় রাখতে হয়, সেখানে বর্তমানে ৯৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারীই বলেছেন, তারা এখন এই ব্যাপারে জানেন।
এছাড়া বাংলাদেশি নারীদের সচেতন ও দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মেটা সামগ্রিকভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর সাহায্যে নারী উদ্যোক্তারাও ডিজিটাল টুল ব্যবহার করে অনলাইন কমিউনিটি তৈরি করতে পারবেন, যা তাদের ব্যবসা গড়ে তুলতে ও প্রসারে সাহায্য করবে।
মেটা-র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পলিসি প্রোগ্রামস ডিরেক্টর বেথ অ্যান লিম বলেন, ‘বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর অনলাইনে নারীদের অংশ্রগ্রহণ বৃদ্ধি করেছে এবং তাদের ক্ষমতায়নে সাহায্য করছে। আশা করছি, অংশীদারদের সাথে নিয়ে অনলাইন সুরক্ষা ও আর্থিক স্বাধীনতা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ডিজিটাল দক্ষতার উপর কর্মশালার আয়োজনকে এগিয়ে নিতে পারবো। আমরা জানি, এখনও অনেক নারীকেই তাদের বাড়িতে অসম পরিমাণ দায়িত্বের ভার নিতে হয়। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবসা ক্ষেত্রের সুযোগসমূহ এই নারীদের দ্বারপ্রান্তে আনতে সাহায্য করবে।’