কাতার বিশ্বকাপের ৯৭৪ স্টেডিয়াম অনুদান হিসেবে চেয়েছে বাফুফে

প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ আয়োজন করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে কাতার। নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও সফলভাবেই চলছে তাদের বিশ্বকাপ আয়োজন।

ফিফার ২২তম আসরের জন্য আটটি ভেন্যু তৈরি করেছে কাতার। এর মধ্যে অন্যতম ‘স্টেডিয়াম ৯৭৪’। কাতারের ডায়ালিং কোড নম্বর হচ্ছে, ৯৭৪। তাই স্টেডিয়ামটি তৈরিতেও ৯৭৪টি কনটেইনার ব্যবহার করা হয়েছে। আর এই কারণেই এর নামকরণ করা হয় ‘স্টেডিয়াম ৯৭৪’। স্টেডিয়ামটিতে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, পর্তুগালসহ অনেক দলই খেলেছে। খেলেছেন মেসি-রোনালদো-নেইমার-এমবাপ্পের মতো বিশ্বসেরা ফুটবল তারকারাও।

কাতার সরকার এই স্টেডিয়ামটি কোনো এক দেশকে অনুদান হিসেবে দিতে চেয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সে সুযোগটি নিতে চায়। স্টেডিয়ামটি অনুদান হিসেবে পেতে কাতার দূতাবাসের মাধ্যমে বাফুফে এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাব অনুরোধ করেছে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই কাতার দূতাবাসের মাধ্যমে সরকারিভাবে কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। স্টেডিয়ামটি অনুদান হিসেবে পেতে আমরা যোগাযোগ করেছি। আমাদের আবেদন তাদের কাছে পৌঁছেছে। ’

এই স্টেডিয়াম অনুদান হিসেবে পেলে কোথায় স্থাপন করবে বাফুফে সে ব্যাপারে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে কাতারের কাছে স্টেডিয়াম চেয়ে রেখেছি। একাধিকবার এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কথাও হয়েছে। এখন স্টেডিয়াম যদি পাওয়া যায় সেটা কোথায় স্থাপন করা হবে এনিয়ে সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার আমরা কথা বলবো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে। ’

অভিনব এক স্টেডিয়াম ৯৭৪। এ স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল রাশ আবু আবুদ নামে। দোহা থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে পারস্য সাগরের তীর ঘেঁষে নির্মাণ করা স্টেডিয়ামের নাম পরে দেওয়া হয় ৯৭৪। শুধু শিপিং কন্টেইনার ও স্টিল দিয়ে তৈরি হয়েছে এই স্টেডিয়াম। এর বিশেষত্ব হলো স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য ৯৭৪ টি কন্টেইনার ব্যবহার করা হয়েছে।

কাতারের সামুদ্রিক এলাকার পাশেই তৈরি করা স্টেডিয়ামটিতে দর্শক আসন ছিল ৪০ হাজার। ৯৭৪টা কন্টেইনার দিয়ে এটিকে অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হয়। ফুটবল বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই প্রথম অস্থায়ী স্টেডিয়াম। মডিউলার স্টিল ও শিপিং কন্টেইনার দিয়ে তৈরির কারণে সহজেই ভেঙে ফেলা যাবে এই স্টেডিয়াম। স্টেডিয়াম ভাঙার সময় যাতে দূষণ না হয়, তা আলাদা ভাবনাও নিয়েছে কাতার প্রশাসন। এমনকি প্রয়োজনে ওই কন্টেইনার পুনরায় ব্যবহারও করা যাবে। এমনকি চাইলে অন্য দেশেও স্থানান্তর করা যাবে।

২২ নভেম্বর মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল এই অভিনব স্টেডিয়ামের। ব্রাজিল-সুইজারল্যান্ড এবং আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ডের ম্যাচসহ ৭টি খেলা হয়েছে এই স্টেডিয়ামে।

Facebook Comments