তরুণ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী তাশরীফ খান। নিজের গড়া ব্যান্ড ‘কুঁড়েঘর’ এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে বেশ পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। সর্বশেষ বন্যা কবলিত সিলেট-সুনামগঞ্জসহ আরও কিছু এলাকায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে বেশ প্রশংসা পান এই তরুণ। পাশাপাশি অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
প্রথমবারের মতো বই লিখছেন তাশরীফ খান। তার প্রথম বইয়ের নাম ‘বাইশের বন্যা’। চলতি বছর বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকার মানুষকে সাহায্য করতে গিয়ে নানা বিচিত্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন তাশরীফ। সেখান থেকে ১০টা গল্প নিয়েই তার এই বই।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে rokomari.com থেকে বইটির প্রি-অর্ডার শুরু হয়েছে। প্রথম ১ হাজার বইতে থাকবে লেখকের অটোগ্রাফ।
তাশরীফ খান বলেন, ‘আমার অনেক বড় একটা স্বপ্ন ‘বাইশের বন্যা’ বইটা আজ আপনাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। আমার মনে আছে বন্যার সময় অসংখ্য মানুষ কোন না কোনভাবে আমায় সাহস যুগিয়েছেন। কেউ টাকা পাঠিয়ে, কেউ পাশে থেকে কেউ বা দোয়া করে। আমি বিশ্বাস করি তারা প্রত্যেকেই এই বইটার অংশীদার। বইটি আমি লিখেছি স্মরণকালের এই বন্যার কথা মানুষকে মনে করিয়ে দিতে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও যেন এই বন্যার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারে। আমি মনে করি আটোগ্রাফটা এখানে মূল বিষয় না, তবে যারা আমার এই পরিশ্রম এবং চেষ্টাকে সন্মান জানাতে বইটা শুরুতেই অর্ডার করে আমাকে অনুপ্রেরণা দিবেন, তাদের জন্য আমার তরফ থেকে এটা সামান্য একটা উপহার মাত্র।’
তিনি বলেন, ‘এই বইয়ে কোন কাল্পনিক গল্প বা চরিত্র নেই, প্রতিটা ঘটনাই আমার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া। কিছু ঘটনা আপনাদের জানিয়েছি আর বেশিরভাগই জানাইনি কারণ ঘটনাগুলোতে এতটাই ভয়াবহতা ছিল যে আপনারা অনেকেই হয়ত তখন দুশ্চিন্তায় পড়ে যেতেন আমাদেরকে নিয়ে। কতবার যে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি তা মনে পড়লে এখনও আমার মনের মধ্যে ভয় কাজ করে। আপনাদের পর্যন্ত বই টা পৌঁছে দেওয়া আমার দায়িত্ব ছিল, বাকিটুকু দায়িত্ব আপনাদের কাধেই দিতে চাই এবার। আমি বিশ্বাস করি আপনারা আমায় নিরাশ করবেন না।’
তাশরীফ খানের ‘বাইশের বন্যা’ বইটি প্রকাশিত হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। এরপর এটি পাওয়া যাবে একুশে বইমেলায়। প্রকাশনার দায়িত্বে আছে কিংবদন্তি পাবলিকেশন। প্রচ্ছদ করেছেন সাহাদ্যাআর্ট। ৯৬ পৃষ্ঠার বইটির বিক্রিত দাম রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা। বই থেকে অর্জিত আয়ের একটা অংশ সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ব্যয় করা হবে বলেও জানান এই তরুণ।