নামাজ ফরজ ইবাদত। প্রত্যেক স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ জ্ঞানের অধিকারী নারী-পুরুষের উপরই নামাজ ফরজ। তবে এ নামাজ আদায়ে একাগ্রতা ও একনিষ্ঠতার গুরুত্ব অনেক বেশি। যে কারণে একই নামাজের সওয়াব ক্ষেত্রে কম-বেশির ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পুরুষদের পক্ষে জামাতে নামাজ আদায় করার সওয়াব তার ঘরে ও বাজারে নামাজ পড়ার চেয়ে পঁচিশ গুণ বেশি। কারণ এই যে, কোনো ব্যক্তি যখন খুব ভালোভাবে অজু করে নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে গমন করে এবং নামাজ ছাড়া তার মনে আর কোনো উদ্দেশ্য না থাকে, তখন মসজিদে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং তার একটি করে গুনাহও মাফ হয়ে যায়। মসজিদে প্রবেশ করে যতক্ষণ পর্যন্ত সে নামাজের অপেক্ষায় বসে থাকে, ততক্ষণ সে নামাজের অনুরূপ সওয়াবই পেতে থাকে।
আর যে ব্যক্তি নামাজ আদায়ের পর কাউকে কষ্ট না দিয়ে অজুসহ মসজিদে অবস্থান করে, ততক্ষণ ফেরেশতারা তার মার্জনার (ক্ষমার) জন্য এই বলে দোয়া করতে থাকে, ‘হে আল্লাহ! একে তুমি ক্ষমা করে দাও; হে আল্লাহ! এর তাওবা কবুল কর; হে আল্লাহ! এর প্রতি তুমি দয়া প্রদর্শন কর। (বুখারি ও মুসলিম)
এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, ঘরে নামাজ আদায়ের চেয়ে মসজিদে নামাজ আদায়ে শুধু সওয়াবই বেশি নয়। আল্লাহর তরফ থেকে বান্দার জন্য নাজিল হতে থাকে অবিরত রহমত ও বরকত। আর ফেরেশতারা ওই নামাজির জন্য মাগফেরাত কামনা করতে থাকে। একজন নামাজির জন্য এটি অনেক বড় পাওয়া ও মর্যাদার বিষয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।