নিজ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না শিক্ষক : শিক্ষামন্ত্রী

নিজ শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না শিক্ষক। অনৈতিক কোচিং বন্ধে নতুন করে এমন শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (বিআইসিসি), বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) প্রথম সমাবর্তন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের ক্লাসরুমের সাইজ অনেক বড় থাকে, সে জন্য সব শিক্ষার্থীকে সমানভাবে সুযোগ দেওয়া যায় না। পাশাপাশি অনেকের বাড়িতে অভিভাবকরা সময় দিতে পারেন না। এসব কারণে কোচিংয়ের দরকার হতে পারে।

তিনি বলেন, কোচিংয়ের অনৈতিক অংশটুকু হলো, কোনো শিক্ষক নিজ শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেটে পড়তে বাধ্য করা, তাদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া, কিংবা কম নম্বর দেওয়া মত ঘটনা নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। এ অনৈতিক কাজটি যেন না হয়, সে জন্য নতুন শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সেখানে প্রস্তাবনা করা হচ্ছে যে, কোনো শিক্ষক যেন তার নিজ শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে না পারে। তবে তিনি অন্য কাউকে চাইলে পড়াতে পারবেন। এটি মন্ত্রিসভায় পাস হয়ে সংসদে যাবে।

যানজটের কারণে এসএসসি পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা পেছানো হয়েছে উল্লেখ্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সকাল ১০টার পরিবর্তে ১১টায় পরীক্ষায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যানজট ও বৃষ্টির কথা বিবেচনা করে একটু সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষার হলে আসবেন, ঠিক সাড়ে ১০টায় পরীক্ষার হলে উপস্থিত থাকবেন।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বেই আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। সামাজিক যে চাপ আছে, সেখানে পড়াশুনোর চাপ এসে যোগ হয়েছে। এরপর মহামারি করোনার একটা ট্রমাও রয়েছে। আমরা এই অবস্থা থেকে উত্তরণে মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট দুই লাখ শিক্ষককে কাউন্সিলিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছি৷ আমরা চাই আমাদের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২ জন শিক্ষক কাউন্সিলিংয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হবেন।

তিনি বলেন, আমরা সন্তানদের অতিরিক্ত চাপ দেই। আমাদের সন্তানদের নিজস্ব একটা মেধা আছে, নিজস্ব সক্ষমতা আছে৷ আমদের চেষ্টা করতে হবে যাতে তার মেধা অনুযায়ী সহযোগিতা করতে পারি। কিন্তু আমি যদি তাকে সবসময় প্রথম, দ্বিতীয় হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দেই, এতে অতিরিক্ত মানসিক চাপ পড়ে। তা থেকেই হতাশা, সংশয় তৈরি হয়। কাজেই আমরা যদি সহযোগিতা করি তবে এ রকম চাপ তৈরি হবে না।

Facebook Comments