‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন

‘হাওয়া’ সিনেমার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে।

গতকাল রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিকের আদালতে মামলার বাদী বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা এ আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে এ বিষয় আদেশের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলার বাদীর আইনজীবী মো. জাকির হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিন বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ধারা ৪৩ মোতাবেক মামলাটি আপসযোগ্য হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারা মোতাবেক মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে রায়ের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

মামলা প্রত্যাহারের আবেদনে বলা হয়, যেহেতু মামলাটি বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ এর ৩৮(১), ৩৮(২), ৪১ এবং ৪৬ ধারায় বাদী মামলাটি করেন। আসামি অত্র মামলা সম্পর্কে অবগত হয়ে হাওয়া সিনেমায় ব্যবহৃত বন্যপ্রাণী সম্পর্কে অবগত ছিল না এবং আসামি বন্যপ্রাণী ব্যবহার করলে যে অপরাধ জানতো না। আসামি নিজের ব্যবহৃত প্যাডে বন্যপ্রাণী ব্যবহার সম্পর্কে দুঃখ প্রকাশসহ নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করে৷ এরপর মামলার বাদী তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ মামলাটি প্রত্যাহার করতে ইচ্ছুক।

এর আগে ১৭ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করা হয়। বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা বাদী হয়ে মামলাটি করেন।ঃ

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮ (১-২), ৪১ ও ৪৬ লংঘন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় তিনজনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এরা হলেন তদন্ত কমিটিতে কাজ করা আব্দুল্লাহ আস সাদিক, অসীম মল্লিক ও রথিন্দ্র কুমার বিশ্বাস।

গত ২৯ জুলাই হাওয়া চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। মুক্তির পর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত চলচ্চিত্রটির রিভিউতে জানানো হয়, এই চলচ্চিত্রে একটি পাখিকে হত্যা করে চিবিয়ে খেয়েছেন চান মাঝির চরিত্রে অভিনয় করা চঞ্চল চৌধুরী।

রিভিউ প্রকাশের পর হাওয়া চলচ্চিত্রে একটি শালিক পাখিকে খাঁচায় আটকে রাখা ও একপর্যায়ে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানোর মাধ্যমে বন্যপ্রাণী আইন লংঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ আগস্ট এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় ও দেশে পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা ৩৩টি সংগঠনের সমন্বিত প্রয়াস বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)।

এর পরদিন গ্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখে আইন লংঘনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান বন অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

Facebook Comments