কমিউনিটি সেন্টারে পাবজি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়ায় ১২০ জন আটক

নিষিদ্ধ পাবজি গেমস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় ও আয়োজকসহ ১২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১২ জন আয়োজক ও ১০৮ জন খেলোয়াড় রয়েছেন, যারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চুয়াডাঙ্গা সদরে পাবজি গেমস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে আসেন।

বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের দৌলতদিয়াড় এলাকার তাস্নীম নূর কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক ২৪ জনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ায় তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

বিকেলে সাজাপ্রাপ্তদের পুলিশ পাহারায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান বলেন, কমিউনিটি সেন্টারে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কিশোর ও যুবকরা মিলিত হয় নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্য। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ সদর উপজেলার আলোকদিয়া দৌলতদিয়াড় এলাকার তাস্নীম নূর কমিউনিটি সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে।

নিষিদ্ধ পাবজি গেমসের প্রধান আয়োজক ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা পাড়ার মুহাই আলির ছেলে মেহরাব ও পোস্ট অফিস পাড়ার সাহিন মাহমুদের ছেলে সাদমান সারার।

পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত পাবজি গেমস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করছে ১০৮ জন। আর আয়োজক ছিল ১২ জন। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রিক ডিভাইস, নগদ টাকা, খেলার পুরস্কার, রাউটারসহ বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, দুপুরে আটক ব্যক্তিদের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি তাদের ২৪ জনকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিম ভূঁইয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক প্রত্যেককে ২ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। বিকেলে তাদের চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেয়া হয়। বাকি ৯৬ জনের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে, তাদের অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হবে। আর বয়স ১৮ বছর হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেয়া হবে।

পাবজি গেমস চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ১৯টি দল। প্রতিটি দলে অংশ নেয় চারজন করে।

Facebook Comments