জাতির পিতাকে অসম্মান হতে দেবেন না সরকারি কর্মকর্তারা

কুষ্টিয়া পৌরসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে তাকে অবমাননা ও অসম্মান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে আর অবমাননা ও অসম্মান হতে দেবেন না সরকারি কর্মকর্তারা।

এই প্রতিজ্ঞায় আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীসহ সারাদেশে সমাবেশ করেছেন সরকারি কর্মকর্তারা।

‘জাতির পিতার সম্মান, রাখব মোরা অম্লান’- এমন স্লোগানে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে কেন্দ্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সরকারি কর্মকর্তা ফোরামের ব্যানারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। একইসঙ্গে সারা দেশের জেলা-উপজেলায়ও সমাবেশ করেন সরকারি কর্মকর্তারা। বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা সমাবেশে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার কর্মকর্তা।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, আমরা আমাদের জীবদ্দশায় জাতির পিতার প্রতি কোনো রকমের অন্যায় ও অসম্মান হতে দেব না, এটাই হল আজকের অঙ্গীকার। আমরা জনগণের সেবক। সংবিধানে জাতির পিতা রয়েছেন। আমাদের দায়িত্ব সংবিধানকে সমুন্নত রাখা। আমরা যদি থাকি, তাহলে জাতির পিতার অবমূল্যায়ন হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা সমগ্র জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে এসেছি, এ রকম কোনো ঘটনা হতে দেব না।

মুখ্য সচিব বলেন, জয় বাংলা শব্দটি মুক্তিযুদ্ধের। এখন থেকে শব্দটি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনে সরকারের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। এ সময় তিনি জয় বাংলা স্লোগান দিলে উপস্থিত কর্মকর্তারাও জয় বাংলা স্লোগান দেন।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবিধানিকভাবে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃত। বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র এখনও এই মহান নেতাকে অস্বীকার করে যাচ্ছে। তারা হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছে যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ওপর কোনো রকমের আঘাত, কোনো অপমান মেনে নেওয়া হবে না, সহ্য করা হবে না।

সংবিধান ও রাষ্ট্রের ওপর আঘাত কঠোরভাবে মোকাবেলার ঘোষণা দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সংবিধানের অংশ। বঙ্গবন্ধু দেশ ও পতাকা দিয়েছেন, মানচিত্র দিয়েছেন। তার ওপর হামলা হল সংবিধান ও রাষ্ট্রের ওপর হামলা, জনগণের ওপর হামলা। রাষ্ট্র অবশ্যই তার আইন-বিধির মাধ্যমে এটি কঠোর হস্তে মোকাবেলা করবে।

ঢাকার সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্কের সভাপতি ও খাদ্যসচিব মোছাম্মাৎ নাজমানারা খানম, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের পক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশনের মহাসচিব বিকাশ কুমার সাহা, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের আ ম সেলিম রেজা, পররাষ্ট্র ক্যাডারের সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার ও আনসার ক্যাডারের শামসুল আলম প্রমুখ।

Facebook Comments