বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা সম্ভব

ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করে নিজেদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে সংস্কার করা এফবিসিসিআই আইকন পরিদর্শনকালে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীকে এ কথা জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের দুই দেশের মতো ঐতিহ্য এবং মানবতার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আর কোনো দেশে নেই। বাণিজ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবিলায় আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করব। যা আমাদের মানবতার ঐতিহ্য ও আমাদের নেতৃত্বের পরিপূরক সহযোগিতায় ভিশন বাস্তবায়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই লাভবান হওয়ার জন্য রপ্তানি, যৌথ উদ্যোগ, বিভিন্ন খাতে ভ্যালু চেইন চিহ্নিত করা এবং সে বিষয়ে কাজ করার আশ্বাসও দেন তিনি।

তিনি হাইকমিশনারের কাছে এফবিসিসিআই ইমপ্যাক্ট ৪.০ সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি বলেন, অনেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আমাদের ইমপ্যাক্ট ৪.০ উদ্যোগে এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক অংশীদারিত্বে কাজ করতে পারে।

ইমপ্যাক্ট ৪.০ এর মধ্যে আছে এফবিসিসিআই এডিআর সেন্টার, টেক সেন্টার, স্কিল ল্যাব, এফবিসিসিআই ইনস্টিটিউট, এফবিসিসিআই ইউনিভার্সিটি, ইকোনমিক অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড রিসার্চ সেন্টার, মাল্টিপারপাস ওয়ার্কশপ/সেমিনার/স্কিলস অডিটোরিয়াম ও বিশ্বব্যাপী ফেডারেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দেশের বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলো, এলডিসির বর্ধিত সুবিধাগুলো, এসডিজি ২০৩০ এবং ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের রোডম্যাপ ইত্যাদি।

এফবিসিসিআই আইকন পরিদর্শনকালে হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের কাঙ্ক্ষিত সম্ভাবনা অর্জনের অন্যতম উপায় হচ্ছে ‘বাংলাদেশি রপ্তানি উপকরণ, অটোমোবাইল, মোটরবাইক যন্ত্রাংশ উত্পাদন, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, কোয়ান্টাম ইন্টারনেট, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, সাইবারসিকিউরিটি, দক্ষতা, ডিজিটাল উপকরণগুলো, গবেষণা-উন্নয়ন ও উৎপাদন ব্যবস্থার যৌথ উদ্যোগ। পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়গুলোর প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া।

তিনি বলেন, খাদ্যে পর্যাপ্ততা, ভ্যাকসিন উত্পাদন, রিসোর্স জেনারেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। দুই দেশের মধ্যে প্রধান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধান হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে অর্থনৈতিক সহযোগিতায় আরও বড় অংশীদারিত্বমূলক কাজে এগিয়ে যেতে পারি।

এছাড়া গার্মেন্টস, কৃষি, ব্যবসা, এপিআই, ফার্মাসিউটিক্যালস, অটোমোবাইল, পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ইত্যাদির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ভারতের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন বিক্রম দোরাইস্বামী। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য সুবিধার্থে নৌপথ ও রেলপথের সরাসরি সংযোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

এসময় এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. রেজাউল কারিম রেজনু, পরিচালক সুজিব রঞ্জন দাশ, মো. মুনির হোসেন, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদ্বীপ দে, বাণিজ্য কর্মকর্তা প্রমেশ বাসাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments