ধর্ষণরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী

ধর্ষণ সমাজের একটি ব্যাধি। ইদানিং এটা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে এবং প্রচারও হচ্ছে। যতবেশি এই ঘটনাগুলো প্রচার হচ্ছে, ততবেশি এর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৭০তম বুনিয়াদি কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এসব ঘটনা রোধ করার জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ব্যাপারে জনসচেতনতাও সৃষ্টি করা প্রয়োজন।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ঘটনা (ধর্ষণ) রোধ করার ব্যাপক ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা মানুষের মাঝেও জনসচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার। ইদানিং ধর্ষণটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে এবং প্রচারও হচ্ছে। এটার যত বেশি প্রচার হয় প্রাদুর্ভাবটাও তত বাড়ে। সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংযুক্ত করে অধ্যাদেশ জারি করেছে।

প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকে যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলেন, আপনারাই থাকবেন আগামী দিনের কর্ণধার। আপনারাই দেশটাকে পরিচালনা করে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আজকে যারা নতুন প্রজন্ম তারাই ২০৪১ এর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক। আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হয়েই আমাদের কর্মচারীরা দেশ ও জনগণের সেবা করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কোনো ধরনের অন্যায়-অবিচার যেন না হয়। মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায়। মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। কারণ, আমি জানি বিচার না পেলে কি কষ্ট। আমার বাবা-মা, ভাইকে যখন হত্যা করা হয়, খুনিদের ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছিল। আমার বিচার চাওয়ার কোনো অধিকার ছিল না। আমি কেন, ১৫ আগস্ট যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের পরিবারের কারোরই বিচার চাওয়ার কোনো অধিকার ছিল না। আমার বাবা-মা, ভাই মারা গেছে আমি একটা মামলাও করতে পারিনি। আমার সেই অধিকারটাও ছিল না। এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে যেন আর না থাকে।

Facebook Comments