সব চালানই আসছে রাজধানীর এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে

দেশবাংলা ডেস্ক

কাফনের কাপড়ে মুড়িয়ে মরদেহ বহনকারী ফ্রিজিং গাড়িতে বা পিক আপ ভ্যানে আবার কখনও ফলের গাড়িতে এরকম অভিনব সব কায়দায় ঢাকায় ফেন্সিডিল আমদানি। সব চালানই আসছে রাজধানীর এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে। এক সপ্তাহে ফেন্সিডিলের এরকম তিনটি বড় চালান গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর নাম এসেছে তার।

পুলিশ বলছে, মাদকের এই কারবারিকে আটক করা হলে ঢাকার মাদক ব্যবসার অনেক কিছুই বের হয়ে আসতে পারে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ইস্কাটন গার্ডেন রোডে একটি পিকআপ ভ্যানকে থামায় গোয়েন্দা পুলিশ। গাড়িটিতে ফেন্সিডিলের চালান আছে গোপন সংবাদ ছিল তাদের কাছে। কিন্তু, তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও মিললো না ফেন্সিডিলের সন্ধান।

পরে, চালক ও হেলপারকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা জানায় ভ্যানটিতে বিশেষ কায়দায় লুকানো আছে ১ হাজার বোতল ফেন্সিডিল। গাড়টি ছিল একেবারে ফাঁকা। কারণ পুলিশের সন্দেহের বাইরে থাকা। বিশেষ কায়দায় ফেন্সিডিলগুলো লুকানো ছিল পাটাতনে।

পুলিশ জানায়, যশোরের বেনাপোল থেকে চালানটির গন্তব্য ছিল ঢাকা।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, মাদক কারবারিরা বিশেষ বিশেষ কায়দায় কখনো পেটের ভিতর, কখনও মরদেহবাহী গাড়িতে বা বাড়ির ফুয়েল ট্যাংকে করে লুকিয়ে মাদক পাচার করে। তবে, এসব মাদক পাচারকারীদের বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বদা সচেষ্ট আছে।

পুলিশ বলছে, এই চালানটিসহ গেলো ১ সপ্তাহে তিনটি ফেন্সিডিলের চালান এসেছে ঢাকায়। প্রতিটি চালানের পৌঁছানোর কথা ছিল একজন মাদক ব্যবসায়ীর কাছে।

এর আগের, দু’টি চালানে যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারাও একই মাদক ব্যবসয়ীর নাম বলেছে।

Facebook Comments