শিক্ষাঙ্গন র‌্যাগিংমুক্ত রাখতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান দীপু মনির

দেশবাংলা ডেস্ক

শিক্ষাঙ্গন মাদক ও র‌্যাগিংমুক্ত রাখতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন,শিক্ষাঙ্গনগুলোকে মাদক ও র‌্যাগিংমুক্ত রাখতে হবে। এ জন্য শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সবাইকে এ কাজে সচেষ্ট হতে হবে।

দীপু মনি বলেন,প্রয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন করতে হবে। এগুলো করা গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিং থাকবে না।উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণা ও প্রকাশনা বাড়িয়ে র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেতে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

দীপু মনি বলেন,বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা বুঝতে চাইলে আওয়ামী লীগের জন্মকালীন ইশতেহার ও ১৯৭০ সালের নির্বাচনি ম্যানুফেস্টো দেখতে হবে। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও জাতীয়করণ করতে কুদরাত ই খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে শেখ কবির হোসেন বলেন,বঙ্গবন্ধু শিক্ষা কমিশন করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসন দিয়ে গেছেন। ইউজিসি প্রতিষ্ঠা করেছেন। একটি কমিশন গঠন করা হবে শুনেছি, আমার জীবদ্দশায় যেন তা দেখে যেতে পারি।

শেখ কবির হোসেন আরও বলেন,করোনার সময়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন শিক্ষা চালু করে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করছে। অনলাইন ক্লাস করতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেসব সুবিধা দেওয়া হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও যেন একই সুবিধা দেওয়া হয়।

উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন,বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতো না। শিক্ষার এত বিস্তার হতো না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও গড়ে উঠতে পারতো না। উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিনিয়োগের এত সুযোগ সৃষ্টি হতো না।

উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন,বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল বিত্তবানদের সন্তানরা পড়েন না, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরাও পড়েন। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যলয়গুলো তাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে সবার আগে এগিয়ে এসেছে।

ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন,শিক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি শিক্ষাকে কোনও সুযোগ নয়,অধিকারে পরিণত করেছিলেন। আর সে কারণেই তিনি স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ করেছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন। সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেনজির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী।

Facebook Comments