গাজীপুরে দুই ছেলের হত্যার হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বৃদ্ধ বাবা!

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম
গাজীপুর প্রতিনিধি :

গাজীপুরের জহিরুল হক বড়ি লিখে না দেওয়ায় দুই ছেলে কতৃক নির্যাতনের শিকার হন।এক পর্যায়ে ছেলে ও পুত্র বধূদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। এতে তাঁরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার হুমকি দেন।ফলে ৭০ বছর বয়সী জহিরুল হক প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন! পালিয়ে মেয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি।ঘটনাটি গাজীপুর মহানগরীর কামারজুরী এলাকার।

জহিরুল হক জানান,তিনি রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে চাকরি করতেন।২০০২ সালে তিনি অবসর নেন।দুই ছেলে ও চার মেয়ের কথা ভেবে সঞ্চয়ের টাকায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বোর্ড বাজারের কামারজুরী এলাকায় পাঁচ কাঠা জমি কিনে বাড়ি করেন।কিন্তু সুখের আশায় করা ওই বাড়িই এখন তাঁর কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাড়িটি লিখে দেওয়ার জন্য দুই ছেলে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ওপর নির্যাতন করে আসছেন। সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে অনেক দিন চুপ ছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের নির্যাতনের মাত্রা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়।

ফলে গত ১৩ জুলাই তিনি বড় ছেলে ব্যবসায়ী একরামুল হক সেলিম,ছোট ছেলে ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন এবং দুই পুত্রবধূ লুৎফুন নাহার লতা ও নুরুন নাহার নিপার বিরুদ্ধে জিএমপির গাছা থানায় মামলা করেন।

মামলার কথা জানতে পেরে দুই ছেলে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন, তাঁরা তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এতে তিনি ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান, আশ্রয় নেন মেয়ের জামাইয়ের বাড়ি।

জহিরুল হকের ছোট মেয়ে মর্জিনা আক্তার বলেন,মামলার পর ভাই-ভাবিদের অত্যাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।সহ্য করতে না পেরে প্রাণভয়ে বাবা আমার বাড়িতে আশ্রয় নেন।কিন্তু এতেও তারা থেমে থাকেনি, লোকজন নিয়ে এখানে এসেও তাঁরা হামলা করেছিলেন বাবাকে।খবর পেয়ে থানার ওসি ও একজন সহকারী কমিশনার আসেন। তাঁরা বাবাকে বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

গাছা থানার ওসি মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান,জহিরুল হককে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার পর তাঁর দুই ছেলে ও পুত্রবধূরা পালিয়ে গেছেন।তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

দেশবাংলাবিডি২৪/তাজু

Facebook Comments