ঠাকুরগাঁওয়ের খামারিরা কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায়

ইমন খান
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

আসন্ন কোরবানির ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ঠাকুরগাঁওয়ের পশু খামারিদের দুশ্চিন্তা ততই বাড়ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না কমায় খামারিদের যেন চিন্তার শেষ নাই। করোনার এ দুঃসময়ে পশু বাজারে নিতে পারবেন কিনা,বাজারে নিলেও ক্রেতা মিলবে কিনা,ক্রেতা মিললেও দাম সঠিক পাবেন কিনা এসব নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন গরু খামারিরা। আর এদিকে আবার গরুর লাম্পই রোগে ভুগছে খামারিরা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানায়,এবার ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা-উপজেলা মিলে গরুর খামার ১১ হাজার ৭৮২। আর গরুর সংখ্যা ৮০ হাজার ৪৫৯। বাজারে উঠবে অনেক গরু কিন্তু গুটি রোগ এবং লম্পিং যে রোগ দেখা দিয়েছে তাতে ক্রেতা কম হতে পারে।

গরুর খামারি মান্নান জানান, করোনা নিয়ে তারা এখনো দুশ্চিন্তামুক্ত হতে পারেননি। মূলত কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা বছর গরু লালন-পালনে তারা মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন। তাই এখন পশু বিক্রি করতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন।

একই এলাকার সিরাজ বলেন,সারা বছর গরু মোটাতাজা করে কোরবানির ঈদের অপেক্ষায় থাকি।এ সময় লাখ টাকায় বিক্রির আশায় ভালো ভালো খাবার খাইয়ে লালন-পালন করি। তার ভালো দাম না পাই তাহলে লোকসান হবে অনেক।

এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন বলেন,এ বছরও আমাদের দেশে যে পশু আছে তা কোরবানির জন্য যথেষ্ট। দেশের বাইরে থেকে গরু আনার প্রয়োজন নেই।তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে অসংখ্য গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া খামারও গড়ে উঠেছে। গ্রামের বিধবা মহিলা বা সাধারণ কৃষক থেকে শুরু করে লাখ লাখ মানুষ গরু, ছাগল, ভেড়া পালন করেন। এখন অনেক শিক্ষিত যুবক ডেইরি ফার্ম ও গরু মোটা তাজাকরণকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

দেশবাংলাবিডি২৪/ই

Facebook Comments