আবার ২৩ জেলায় বন্যা দেখা দিতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দেশবাংলা ডেস্ক

বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহে আবার ২৩ জেলায় বন্যা দেখা দিতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে- জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জনান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, ১১ জুলাই থেকে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি বাড়বে। বন্যা এবার ২৩ জেলায় বিস্তৃতি লাভ করবে। ২৩ জেলার মানুষ বন্যাকবলিত হতে পারে। বন্যার স্থায়িত্ব বাড়তে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রত্যেক জেলায় ২০০ টন চাল, ৫ লাখ টাকা, শিশুখাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা, গবাদি পশুর জন্য ২ লাখ টাকা এবং ২ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট গতকালই পাঠিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ জেলায় বন্যা দেখা দেবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হবে।

এনামুর রহমান বলেন, আমরা আম্পান মোকাবিলা করলাম, এরপরই আমরা ২৬ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি বন্যা মোকাবিলা করছি। ৭ জুলাই থেকে ১২টি জেলায় অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি চলে এসেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বন্যা বেশি হবে, মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে হবে। সেজন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি যেন বেশি বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়। মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছি। একইসঙ্গে স্কুল-কলেজগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করে সেখানে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কতটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলো এবং সেখানে কতজন আশ্রয় নিয়েছেন সে তালিকা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।

Facebook Comments