শিক্ষা ডেস্ক:
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন জানিয়েছেন, চলতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যেই স্থগিত ২৬ জেলায় প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রমের স্থাগিতাদেশ বাতিল হতে পারে। মার্চেই শেষ হতে পারে প্রাথমিকের নিয়োগ কার্যক্রম।
বুধবার গণশিক্ষা সচিব বলেন, আদালতের মামলা জটিলতা নিরসন হওয়ায় দেশের ৩৫ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এখনও ২৬ জেলার নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে এ সকল জেলার স্থগিতাদেশ বাতিল হতে পারে। তাই আমরা মনে করছি, মার্চেই চূড়ান্তভাবে যোগদান ও পদায়ন কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হবে।
এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেলে (লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পরবর্তীতে ধাপে ধাপে নিয়োগ) নিয়োগ চান চাকরিপ্রত্যাশীরা। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণকারী সবাইকে প্যানেলভুক্ত করে অবিলম্বে নিয়োগ দেয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নিয়োগবঞ্চিতরা।
গত ৬ বছর ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ২০১৮ সালে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পেরে প্রায় ৩৭ হাজার ১৪৮ জন নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন। এখন তারা প্যানেলভুক্ত নিয়োগের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্যানেলভুক্ত নিয়োগ দেয়ার কোনো চিন্তাভাবনা নেই। যারা লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করেছে তাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এর বাইরে প্যানেল করে কাউকে নিয়োগ দেয়া হবে। এ নিয়ে যদি কেউ রাস্তায় বসে আন্দোলন করে, তাহলে মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই।
২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। গত বছর সারাদেশে প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন এবং চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। গত ৬ অক্টোবর থেকে নিয়োগ পরীক্ষার মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাসব্যাপী সারাদেশের সব জেলায় মৌখিক পরীক্ষা আয়োজন করা হয়।
সবশেষে গত ২৪ ডিসেম্বর এ পরীক্ষায় ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করে ফলাফল প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।