চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমান ছিনতাইয়ে চেষ্টাকারী পলাশের মৃত্যুর পর থেকেই গুঞ্জন উঠে ঢাকাই সিনেমার গ্লামারাস নায়িকা সিমলা ছিলেন পলাশ আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রেম থেকে বিয়ে, এরপর পলাশের মানসিক সমস্যা দেখিয়ে সেই বিয়েও ভেঙ্গে যায়। আর সেই ব্যর্থতার আঘাত থেকেই বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার মতো ঘটনাও ঘটান পলাশ। তবে মাদ্রাসা পড়ুয়া পলাশ সিমলাকে বিয়ে করার আগেই জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। মাদকাসক্ত জীবন তাকে পরিবার এবং সিমলা থেকেও বিছিন্ন করে দেয়।রবিবার বিমান ছিনতাইচেষ্টার ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পলাশ ও সিমলার বিয়ের বিষয়টি সামনে আসে। এদিকে এ ঘটনার পর স্যোসাল যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তায় আসেন নায়িকা সিমলা।ওই বার্তায় সিমলা বলেন, ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তার সঙ্গে পরিচয় পলাশের। আমি পরিচালক রশিদ পলাশের ‘নাইওর’ ছবি করেছিলাম। সেদিন (১২ তারিখ) পরিচালক রশিদ পলাশের জন্মদিন ছিল। আমাকে সেখানে ইনভাইট করেছিলেন তিনি। আমি সেখানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই পলাশের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।এরপর ২০১৮ সালের ৩ মার্চ আমরা বিয়ে করি। ওই বছরেরই নভেম্বরে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে।পলাশকে ডিভোর্স দেয়ার তথ্য জানিয়ে নায়িকা শিমলা আরও বলেন, ডিভোর্স দেয়ার মূল কারণ হচ্ছে- মানসিক সমস্যা।পেশা হিসেবে আমি যেটা জানতাম-জানি সেটা হলো পরিচালক রশিদের ‘কবর’ ছবিতে প্রযোজক হিসেবে ছিলেন পলাশ (বিমান ছিনতাইচেষ্টাকারী)। আমি তাকে (পলাশ) একজন প্রযোজক হিসেবেই চিনি। আমি ঘটনার (বিমান ছিনতাইচেষ্টা) সবই শুনেছি। আমার এখন কী করা উচিত। যেহেতু উনাকে (পলাশ) আমি ডিভোর্স দিয়ে ফেলেছি। আমাদের ডিভোর্স হয়েছে চার মাস চলছে। গতবছরের নভেম্বর মাসের ৬ তারিখে ডিভোর্স হয় আমাদের। এখন আমার কী করণীয় আছে।এদিকে নিহত পলাশের বাবা পিয়ার জাহান সরদার গণমাধ্যমকে জানান, পলাশ তার অবাধ্য সন্তান ছিল। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন ছিল তার। ঢাকায় গিয়ে নাচ-গান থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র শিল্পে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ‘কবর’ নামে একটি নাটক ও বেশ কয়েকটি গানের অ্যালবামও বের করে পলাশ। ওই সময়ই নায়িকা সিমলার সঙ্গে পলাশের পরিচয় হয়।প্রায় ৮ মাস আগে সিমলার সঙ্গে বিয়ে হয় পলাশের। এর আগে সিমলাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান পলাশ। মাস খানেকে ব্যবধানে দ্বিতীয়বার সিমলাকে নিয়ে গ্রামে যান তিনি। ওই সময় পলাশ-সিমলা দুজনেই তাদের বিয়ের কথা স্বীকার করেন।বিয়ে প্রসঙ্গে বলেন, দ্বিতীয়বার যখন ওরা গ্রামে আসে, তখন আমি সিমলাকে বলেছি, তোমার সঙ্গে আমার ছেলের বয়সের এত ব্যবধান, তারপরও আমার ছেলেটাকে তুমি কীভাবে বিয়ে করেছ? বিয়ে যেহেতু করেই ফেলেছ, আমার ছেলেটা যাতে ভালো হয়ে যায়, সে খেয়াল রেখ।তার পরিবার জানায়, পলাশের প্রথম স্ত্রী রয়েছে। নাম মেঘলা। বাড়ি বগুড়ায়। তার ঘরে আয়ন নামে আড়াই বছরের এক সন্তান রয়েছে। ছেলে এবং প্রথম স্ত্রী তার দুধঘাটার বাড়িতেই থাকেন।
সিমলার সঙ্গে পলাশের পরিচয় যেভাবে
Facebook Comments