স্পোর্টস ডেস্ক
‘বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস ২০২০’ এর মশাল বহন করবেন দেশের সাবেক ২০ জন কৃতি ক্রীড়াবিদ। রোববার বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত গেমসের মিডিয়া ও পাবলিসিটি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কার্যালয়ে তথ্য সচিব খাজা মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আসন্ন গেমসের মশাল বহনকারীদের তালিকা ও রুট চূড়ান্ত করা হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের ২০ জন কৃতি ক্রীড়াবিদ বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে শুরু করে ঢাকা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পৌঁছাবে।
আগামী ৩০ মার্চ সকালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজারে বিওএ সভাপতি ও গেমসের নির্বাহী চেয়ারম্যান সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ মশাল প্রজ্বালন করে মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজার হাতে তুলে দেবেন। এরপর মহাসচিব মশালটি তুলে দেবেন সাবেক চার কৃতি অ্যাথলেট ইলিয়াস হোসেন (ফুটবল) মিলজার হোসেন (অ্যাথলেটিকস), জেসমিন খান পপি (ভলিবল) ও আতিকুর রহমানের (শুটিং) হাতে।
এ চারজন টুঙ্গিপাড়া থেকে মশালটি বহন করে ঘোনাপাড়া পর্যন্ত এসে তুলে দেবেন খায়রুজ্জামান (হ্যান্ডবল) ও শাহজাহান আলী রনির (সুইমিং) হাতে। এ দুজন মশালটি বহন করে পুলিশ লাইন মোর পর্যন্ত এসে তুলে দেবেন মেজবাহ উদ্দিন (উশু) ও মিজানুর রহমানের (তায়কোয়ানডো) হাতে।
এ জুটি ভাটিপাড়া মোর পর্যন্ত বহন করে মশালটি তুলে দেবেন। ভাটিপাড়া থেকে মশাল গ্রহণ করবেন ইমদাদুল হক মিলন (আরচারি) ও ইতি খাতুন (উশু) জুটি। তারা যাবেন মুকসুদপুর পর্যন্ত। সেখানে ডালিয়া আক্তার (হ্যান্ডবল) ও মিথুন সরকার (বাস্কেটবল) মশাল গ্রহণ করে ভাঙ্গা পৌঁছে দেবেন শাহনাজ পারভিন মালেকা (কাবাডি) ও জ উ প্রুর (কারাতে) হাতে।
এ জুটির কাছ থেকে কাঁঠালবাড়ীর ঘাটে মশাল গ্রহণ করবেন ফরহাদ জেসমিন লিটি (অ্যাথলেটিকস) ও মাহবুব বিল্লা (টেবিল টেনিস)। তাদের কাছ থেকে মাওয়া ঘাটে মশাল গ্রহণ করবেন শেখ মো. আসলাম (ফুটবল) ও গাজী আশরাফ হোসেন লিপু (ক্রিকেট)।
আসলাম-লিপুর কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মশাল গ্রহণ করবেন মো. সিদ্দিকুর রহমান (গলফ) ও মাহফুজা খাতুন শিলা (সুইমিং)।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, শেখ বশির আহমেদ মামুন, কাজী রাজিব উদ্দিন চপল, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. আজিজুর রহমান ও ইকরামউজ্জামান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে খাজা মিয়া গেমসটির প্রচার-প্রচারণার ওপড় গুরুত্ব দিয়ে দেশের সব গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।