বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারে শেখ হাসিনা ভূমিকা অতুলনীয় : মেয়র তাপস

বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারে শেখ হাসিনার ভূমিকা অতুলনীয় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) কর্তৃক আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্মেলন ২০২১’ এর গেস্ট অব অনার এর বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এই মন্তব্য করেন।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সায়েন্স ল্যাবে (বিসিএসআইআ’র ঢাকা ক্যাম্পাস) তিন দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার পর তা বাস্তবায়নে বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও এ খাতের বিকাশে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে অগ্রবর্তী বিশ্বের শামিল করেছেন। এর মাধ্যমে সারাবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে নতৃন প্রজন্মের জন্য সুযোগের দ্বার অবারিত হলো। আমি বিশ্বাস করি, দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতির মাধ্যমে একদিন আমরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে সারাবিশ্বে অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবো। এই সম্মেলন দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথেই ধাবিত করবে।

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, যেকোনো দেশের অগ্রগতিতে গবেষণা ও উন্নয়ন মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে বলিষ্ট নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের মূল ভিত্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই শুরু হয় উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, জাতির পিতা জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন বলেই তিনি ১৯৭৩ সালে এই বিসিএসআইআর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জাতির পিতার দেখানো পথেই আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে অগ্রগতি লাভে সমর্থ হয়েছি। বৈজ্ঞানিক তথ্য, গবেষণা ও উন্নয়ন, টেকসই প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের লক্ষ্যে এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন আলোর পথ দেখাবে। এর মাধ্যমে নতুন আমরা একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসবে, নেতৃত্ব দেবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশেরেএকটি উন্নত রাজধানী গঠনে তরুণ প্রজন্ম তাদের মেধা ও মননের সন্নিবেশ ঘটাবে।

নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দেশ গঠনে ভূমিকা গ্রহণের আহবান জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার তাপস বলেন, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে আমরা এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছি। উন্নত দেশে প্রবেশ করতে হলে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। আসুন আমরা সকলে মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব পালন করি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন- অগ্নিঝরা মার্চ বাঙ্গালীর হৃদয়ে অবিস্মরণীয়। এই মার্চেই মহানায়কের জন্মদিন, ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের ভাষণ এবং মহান স্বাধীনতা দিবস। সুতরাং এই মাসটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করে Needbased গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে।

প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, শুধু কোভিড নয়, জাতির ভাগ্য উন্নয়নে যেকোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা যারা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করছি, তাদেরকেও নতুন নতুন গবেষণা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ আফতাব আলী শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আ হ ম রুহুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ, আমেরিকা, কানাডা, জার্মানী, চীন ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এক হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী, গবেষক ও প্রকৌশলীবৃন্দ দেশের ইতিহাসে এই প্রথম স্বশরীরে (Actual) এবং Zoom (Virtual) মাধ্যমে তাঁদের গবেষণাকর্ম শত শত উপস্থিতির সামনে উপস্থাপন করবেন। ‘টেকনোলজি ফর টুমোরো’ থিমে শুরু হওয়া এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে।

Facebook Comments