পা ধরে মাফ চাইলেও ভাইকে খুন করে ভাই

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন পশ্চিম নাছিরাবাদ বার কোয়ার্টার এলাকায় ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন আরেক ভাই। দুই ভাই পৃথক দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন করতেন। আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই ভাইয়ের মধ্যে পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল। নিহতের নাম নিজাম উদ্দীন মুন্না। অভিযুক্ত তার ভাই সালাউদ্দীন কামরুল। এদের মধ্যে নিজাম উদ্দীন মুন্না সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবের আহমদের সমর্থক ও অভিযুক্ত সালাউদ্দীন কামরুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের সমর্থক।

এদিকে, ছেলের খুনের জন্য আরেক ছেলের ফাঁসি চাইলেন তাদের মা। তাদের মা জিন্নাত আরা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের ফাঁসি চাই। ও পরিকল্পনা করে খুন করেছে।’
আমার বউ মা বোবা, কথা বলতে পারে না। তার মাসুম দুই সন্তানের কী হবে এখন?

তিনি বলেন, ২ ভাই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছিলেন। জায়গা নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ছিলো ওদের মধ্যে। আমার ছেলের খুনের জন্য আমার আরেক ছেলে কামরুল ইসলাম দায়ী। আমি তার ফাঁসি চাই। আমার বড় নাতি ইমন দেখছিল, নিজাম ওর ভাইয়ের পা ধরে বলছিল মাফ করে দাও। কিন্তু সে মাফ করেনি। খুন করে ফেলেছে।

নিহত নিজামের স্ত্রী নাসরিন আকতার সুমি বাক প্রতিবন্ধী। তিনি নিজের ভাষায় বলার চেষ্টা করছিলেন সব ঘটনা। বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন তার মা ও শাশুড়ি। সুমি জানান, অনেক দিন ধরে আমাদের ওপর অত্যাচার করে আসছিল কামরুল। হত্যার হুমকিও দিয়েছিল। সুমির ছেলে ইব্রাহিমের বয়স মাত্র ৮ মাস। মেয়ে বিবি মরিয়মের বয়স আড়াই বছর।

নিহত নিজামের বোন বিবি জোহরা মুক্তা বিলাপ করে কাঁদছিলেন ভাইয়ের শোকে। তিনি বলেন, আমার ভাতিজা, ভাতিজির কী হবে। তারা এতিম হয়ে গেলো। তাদের দেখাশোনা কে করবে।

Facebook Comments