মেয়র তাপস ও সাঈদ খোকনের দুর্নীতি প্রমাণ হলে ব্যবস্থা : তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের দুর্নীতির প্রমাণ পেলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসার কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠান এ কথা জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, সাঈদ খোকন ও শেখ ফজলে নূর তাপস দুজন ভিন্ন মানুষ। দুজনের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকতে পারে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে, তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আমরা আশা করি একটা সময়ের ব্যবধানে এটা সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হতে পারে। তবে কোথাও যদি দুর্নীতি হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায় তা হলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবেন তারা।

গেল ৯ জানুয়ারি রাজধানীর কদম ফোয়ারার সামনে এক মানববন্ধনে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেন।

সেসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১১ জানুয়ারি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাপস বলেন, তিনি (সাঈদ খোকন) ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে অনেক কথা বলেছেন। এতে আমার মানহানি হয়েছে। আমি আইনি পদক্ষেপ (মামলা) নেব।

ওইদিনই দুই আইনজীবী আদালতে সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলার আবেদন করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের আবেদন গ্রহণ করেননি আদালত। এর মধ্যে ওই দুটি মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন শেখ ফজলে নূর তাপস।

মন্ত্রী আরও বলেন, এডিস মশায় ডেঙ্গু রোগ হয়। গত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজ লাগিয়ে এবার কাজ করছি। আমাদের কার দায়িত্ব কী এটা আমরা প্রচার করেছি। আইইডিসিআর বলেছিল, এ বছর ডেঙ্গু বেশি হবে। আমাদের কী করা দরকার আমরা সে কাজটা করেছি। জনগণ অংশগ্রহণ করেছে। তারা তাদের আঙ্গিনায় যেখানে মশা প্রজনন হয় তা ধ্বংস করার জন্য কাজ করেছে। এ বছর আমি যে প্রতিবেদন পেয়েছি, তাতে একজন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। এর আগে আরও তিনজন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন। তাদের ডেঙ্গুর সঙ্গে অন্য রোগও ছিল।

অনুষ্ঠানে ঢাকা ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান ড. ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ইব্রাহিম প্রমুখ।

Facebook Comments