নির্বাচন এলেই অভিযোগের বাক্স খোলে বিএনপি, জয় পেলেই মুখবন্ধ : তথ্যমন্ত্রী

দেশবাংলা ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, যেকোন নির্বাচন এলেই অভিযোগের বাক্স খোলে বিএনপি, আর তাদের প্রার্থী কোথাও জয় পেলেই তাদের মুখ বন্ধ হয়ে যায়।

আজ চট্টগ্রাম নগরীর পোর্ট কানেক্টিং সড়কের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শনশেষে ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন এলেই বিএনপি অভিযোগের বাক্স খুলে বসে, এটা তাদের চিরাচরিত নিয়ম। অনেকগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তারা জয়লাভ করেছে, জয়লাভ করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নানা অভিযোগ দিয়েছে, যেইমাত্র জয়লাভ করেছে তাদের মুখটা বন্ধ হয়ে গেছে। সুতরাং নির্বাচন আসলে অভিযোগের বাক্স খুলে বসা বিএনপির অভ্যাসগত স্বভাব।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তাদের প্রার্থী, এজেন্ট ও দলীয় নেতাকর্মীদের বাসায় গিয়ে এখন থেকে পুলিশ হয়রানি করছে এবং সরকারি দল প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে। অথচ, জনগণের দৃষ্টিতে নির্বাচন কমিশন সঠিকভাবেই তাদের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছে। দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনের মতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমে হবে, সুতরাং প্রযুক্তি-নির্ভর অন্য নির্বাচনগুলো যেমন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে হচ্ছে, এখানেও সেভাবে নির্বাচন হবে’ উল্লেখ করেন ড. হাছান।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবব্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তানে দীর্ঘশ্বাস, ভারতের মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা, দেশ ও সমগ্র পৃথিবীব্যাপী প্রশংসা হলেও দেশে একটি পক্ষ কখনো প্রশংসা করতে পারে না। বিএনপি নেতৃবৃন্দ এবং কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করতে পারেন না।

সেই কিছু কিছু বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি আছে, কিন্তু আমাদের সরকার সম্পর্কে বলার সময় তাদের বুদ্ধি কেন লোপ পায় সেটি বুঝতে পারি না’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা যেভাবে কথা বলেন, তাতে মনে হয়, দেশে যে এত উন্নয়ন হয়েছে সেটি তারা দেখতে পান না, চোখ থাকতেও তারা অন্ধ। নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা থাকবে, তাদের চোখটা অন্ধের মতো কাজ করবে না, চোখ খুলে তারা এসব বিষয় দেখবে, এটিই হচ্ছে জনগণের প্রত্যাশা।

চট্টগ্রামের উন্নয়ন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী এ সময় বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সবসময় চট্টগ্রামের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এক বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ টাকায় চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, আউটার রিং রোডের সাথে সংযোগ সড়কসমূহের পরিকল্পনা, উপমহাদেশে প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল-রোড কর্ণফুলী টানেল, চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল, চট্টগ্রাম পোর্ট কানেক্টিং রোড নির্মাণ তারই সাক্ষ্যবাহী।

এদিন পাহাড়তলী হর্স শো’র লেকও পরিদর্শন করেন তথ্যমন্ত্রী। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।

Facebook Comments