পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হলো সুন্দরবন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রবেশ করতে হবে সুন্দরবনে। মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। এছাড়া বাকি স্বাস্থ্যবিধিও মানতে হবে।

দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে সুন্দরবন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাদের এ বনে প্রবেশ করতে হবে।

প্রবেশ উন্মুক্ত হওয়ার পর প্রথম দিনে রোববার বেলা ১২টা পর্যন্ত সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকায় পরিদর্শনের জন্য গিয়েছেন ৩৬ পর্যটক। শ্যামনগর উপজেলার কলাগাছি এলাকা দিয়ে এসব পর্যটক সুন্দরবনে প্রবেশ করেন।

করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর সুন্দরবনে প্রবেশ উন্মুক্ত হওয়ার প্রথম দিনে পরিবার নিয়ে সেখানে গিয়েছেন জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। শ্যামনগর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল সুন্দরবনে প্রবেশ। ইচ্ছা থাকলেও সুন্দরবন দেখা সম্ভব হয়নি। তবে জেলা কর্মকর্তার পরিবারের সঙ্গে আজ পরিদর্শনে এসেছি। খুবই ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে প্রকৃতি নতুন সাজে সেজেছে। পর্যটকদেরও ভিড় বাড়ছে।’

পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্চের বন কর্মকর্তা আবুল হাসান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সংসদীয় কমিটির নির্দেশনায় গত ২৫ মার্চ থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। আবার সংসদীয় কমিটির নির্দেশনায় পুনরায় আজ পহেলা নভেম্বর সকাল থেকে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। রোববার বেলা ১২টা পর্যন্ত বনবিভাগ থেকে পাস নিয়ে তিনটি ট্রলারে ৩৬ জন পর্যটক কলাগাছি এলাকা দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুন্দরবনে প্রবেশের আরেকটি পয়েন্ট দোবেকী। সেখানে বুলবুল ঝড়ের সময় পর্যটকদের উঠা-নামা করার জেটি ভেঙে যাওয়ায় সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন জেটি ঠিক করা হয়েছে। সেখান দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দিবে ডিএফও। তবে সেখান দিয়ে সুন্দরবন প্রবেশের জন্য কেউ এখনো আবেদন করেনি। বর্তমানে কলাগাছি এলাকা দিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করছেন পর্যটকরা।’

‘সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রবেশ করতে হবে সুন্দরবনে। মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। এছাড়া বাকি স্বাস্থ্যবিধিও মানতে হবে,’ জানান আবুল হাসান।

Facebook Comments